কলকাতা, ৭ নভেম্বর: শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল (Super Cyclone Bulbul)। আলিপুর হাওয়া অফিসের রিপোর্ট বলছে শুক্রবার থেকেই রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি শুরু হবে। উত্তাল হতে পারে সমুদ্র। ফলে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ। তা ধীরে ধীরে শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হচ্ছে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা সুপার সাইক্লোনিক স্টর্মে পরিণত হয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশমুখী হতে চলেছে। এবার বাংলাদেশেও বুলবুলের প্রভাব পড়তে চলেছে। যতদূর খবর তাতে ওড়িশা উপকূলও বুলবুলের তাণ্ডব থেকে রেহাই পাবে না।
ঘুর্ণিঝড় বুলবুল এখন কলকাতা থেকে প্রায় ৯০০ কিমি দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে ঝড়-বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গের দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়াবিদদের হিসেব অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল উপকূলে আছড়ে পড়ার সময়ে তার গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় প্রায় ৬০ কিলোমিটার। শুক্রবার তা আছড়ে পড়লে, সপ্তাহশেষে বাংলার উপকূলবর্তী অঞ্চলে তার প্রভাব থাকবে। অর্থাৎ এই উইকএন্ডে নিম্নচাপের সম্ভাবনা প্রবল। আরও পড়ুন-Mamata Banerjee Writes Poem: কাশ্মীরে বাঙালি শ্রমিক খুনের প্রতিবাদে কবিতা লিখেছেন মমতা ব্যানার্জি, পড়ুন সেই কবিতা
অন্যদিকে বুলবুল তার অভিমুখ বদল করলে, সপ্তাহান্তে বৃষ্টির প্রকোপ রুখে তা সোমবার থেকেও শুরু হতে পারে। এমনকী, বুলবুলের হাত থেকে বেঁচেও যেতে পারে ওড়িশা উপকূল। তখন পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলার দুই উপকূলে পড়বে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব। এখন রাজ্যবাসীর মনে বেশ টাটকা ওড়িশায় ফনির তাণ্ডব। তাই আগত বুলবুল ঠিক কী রূপ দেখাবে তা আঁচ করতে না পারলেও তটস্থ সকলে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রশাসনও তৈরি আছে।