কলকাতা, ২ সেপ্টেম্বর: ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোয় (Kolkata East West Metro) কাজের জেরে বড় বিপত্তি। বৌবাজারের টানেল বিপর্যয়ে ঘরছাড়া বেশ কয়েকটি পরিবার। দুর্গা পিতুরি লেন ও সেকরাপাড়া লেনের বেশ কিছু বাড়িতে ফাটলের পর একাংশ ভাঙতে শুরু করে। পুরো ধসে পড়েছে চারটি বাড়ি। গতকাল রাত পর্যন্ত মোট ১৪টি বাড়ি বড়রকমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মেট্রোয় কাজের জন্য শহরের বাড়িগুলিতে বিপর্যয় কাণ্ডে জেরে ১৮টি বাড়ি থেকে ২৮৪জন বাসিন্দাকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এই খবর জানিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন। রবিবার গভীর রাতের শহরে হয় এই বিপর্যয়। ওয়াটার টানেল ভেঙেই এই বিপত্তি ঘটেছে বলে প্রাথমিক ধারনা। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে সুড়ঙ্গ খোঁড়ার আগে মাটি পরীক্ষা কি হয়নি?
বৌ বাজারে টানেল বোরিং মেশিন দিয়ে সুড়ঙ্গ খোঁড়ার সময় জল ঢুকে গিয়ে এই বিপর্যয় হয়। সুড়ঙ্গের ওপরে থাকা বাড়িগুলিতে এরপর ফাটল, ধস শুরু হয়। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের ধর্মতলা থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত সুড়ঙ্গের কাজের সময় হয় এই বিপর্যয়। পরশু, বুধবার জার্মানি থেকে বিশেষজ্ঞরা আসছেন। এই ঘটনার পর সিপিএস মেশিন দিয়ে টানেল ভরাট করে দেওয়া হচ্ছে। আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে এই মেট্রো প্রকল্পের কাজ। আরও পড়ুন-অর্জুন সিংয়ের ওপর হামলার জেরে সাতসকালে ট্রেন অবরোধ টিটাগড়ে, ব্যারাকপুরে বিজেপির বন্ধ ঘোষণা
#Kolkata: Portion of few buildings collapse, cracks spotted in multiple buildings in central city's #Bowbazar area, allegedly due to #KolkataEastWestMetro's underground construction works. All evacuated, no casualties reported. Probe begun. #KolkataMetro pic.twitter.com/TIKlgnVUT6
— Deepayan Sinha (@sdeepayan) September 1, 2019
বিপর্যয়ের ঘটনাস্থলেই খোলা হয়েছে স্পেশ্যাল কন্ট্রোল রুম (নম্বর: ৯৪৩২৬১০৪৭২)। এদিকে এই বিপর্যয় নিয়ে আগামিকাল, মঙ্গলবার বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। মেট্রো রেলের দাবি, বোরিং মেশিন দিয়ে সুড়ঙ্গ খোঁড়ার আগে মাটি পরীক্ষা করা হয়েছিল। তবে তখন ওয়াটার পকেটের অস্তিত্ব ধরা পড়েনি। পরে নির্মাণ কর্মীরা বুঝতে পারেন একাধিক গর্ত বা অ্যাকুইফার রয়েছে বড় এলাকা জুড়ে। ওই অ্যাকুইফার লিক করেই জল ঢুকে গিয়েছে সুড়ঙ্গে। এর ফলেই ওই ওয়াটার পকেট লাগোয়া মাটি গিয়েছে বসে। মাটির ওপরে থাকা বাড়িগুলিতে ধসের প্রভাব দেখা যায়।