কলকাতা, ২৮ জানুয়ারি: বিধানসভা অধিবেশনে কেন্দ্রের তিনটি নতুন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে প্রস্তাব আনে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় রাজ্য সরকারের তরফে প্রস্তাব পাশ করেন পার্থ চ্যাটার্জি। কৃষি আইনের বিরোধিতায় প্রস্তাব পেশ করতেই বিজেপি বিধায়কেরা অধিবেশনের মাঝেই বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি করে। 'জয় শ্রী রাম' স্লোগান দিতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়কেরা। আদর্শগত বিরোধ থাকলেও কৃষি আইনের বিরোধিতায় বাম-কংগ্রেসের সমর্থন চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। কৃষি আইন বাতিলের দাবির পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এদিন পদত্যাগের দাবি জানান মমতা ব্যানার্জি। তিনি স্পষ্ট বলেন, 'তিনটি বিল প্রত্যাহার করতে হবে নয়তো সরকার গদি ছাড়ো।' আরও পড়ুন: Parliament Canteen New Rates: এবার থেকে সংসদের ক্যান্টিনে ৩ টাকায় রুটি ও ৭০০ টাকায় আমিষ বুফে, দেখে নিন রেটচার্ট
২৬ জানুয়ারি, প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন চূড়ান্ত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয় দিল্লিজুড়ে। লালকেল্লা দখল নেন কৃষকেরা। কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিল করার জন্য রুটম্যাপ তৈরি করে দেওয়ার পরও কেন ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেল পুলিশ। সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এবার এই প্রসঙ্গেই মুখ খুললেন মমতা ব্যানার্জি। তিনি বলেন, "দিল্লিতে পরিস্থিতি সামাল দিতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন পুলিশকর্মীরা। এমন ঘটনা যদি বাংলায় হত, তাহলে অমিত ভাইয়া প্রশ্ন তুলতেন। পুলিশের কাছে সঠিক তথ্য ছিল না। তাঁরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। দিল্লি পুলিশের ব্যর্থতার জন্য কৃষকদের দেশদ্রোহী বলা যাবে না।" স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে 'ভাইয়া' বলে তীব্র আক্রমণ মমতার।
মমতা ব্যানার্জি আরও বলেন, "আমরা কৃষকদের সঙ্গে রইছি। বলপূর্বক এই তিনটি আইন পাস হয়েছে। দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে মোদি সরকার। দিল্লির এই সমস্ত সংবেদনশীল ঘটনার জন্য একমাত্র দায়ী বিজেপি। প্রথমে তোমরা দিল্লি সামলাও। তারপর বাংলা নিয়ে ভাববে।" কৃষক আন্দোলন নিয়ে সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কেন্দ্রের অবিলম্বে বৈঠক করার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।