Photo Credits: FB

কলকাতা, ২৬ নভেম্বর: আরজি কর কাণ্ডের পর রাজ্যের প্রথম নির্বাচন (Bypolls 2024) সবে শেষ হল। নৈহাটি, মেদিনীপুর, হাড়োয়া, তালডাংরা, সিতাই ও মাদারিহাট বিধানসভা আসনের উপ নির্বাচনে সব কটাতেই বড় ব্যবধানে জয়ী হয় তৃণমূল। এই উপ নির্বাচন মিটতেই এবার রাজ্যে ফের উপভোট। যদিও এই উপ নির্বাচনে সাধারণ মানুষ সরাসরি ভোট দেবেন না।আরজি কর কাণ্ডে রাজ্যে উত্তাল পরিস্থিতির সময় তৃণমূলকে অস্বস্তিতে ফেলে রাজ্যসভার সাংসদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন জহর সরকার (Jawhar Sircar )।

নারী সুরক্ষা আন্দোলনে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সরকার যখন একবারে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল, সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বুঝতে পেরে বিরোধীরা যখন আন্দোলনে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়েছিল, সেই সময় দলকে 'পত্র-বোমা'য় আহত করে ইস্তফা দিয়ে তৃণমূলের সমস্যায় ফেলেছিলেন জহর সরকার। ১৯ সেপ্টেম্বর রাজ্যসভার পদ ছাড়া জহর সরকারের সেই আসন ভরাটের জন্য বাংলায় একটি রাজ্যসভার আসনে উপ নির্বাচন ((Rajya Sabha Bypolls 2024)) হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর। তার মানে রাজ্যে ঠিক এক মাস পরেই ভোট। জহর সরকারের পরিবর্তে মমতা রাজ্যসভায় কাকে পাঠান তা নিয়ে জোর জল্পনা চলছে। এই আসনে তৃণমূল প্রার্থীর জয় নিয়ে কোনও সংশয় নেই।

আগামী ২৬ ডিসেম্ব র রাজ্যসভার উপনির্বাচন

রাজ্যসভার নির্বাচনে শুধু ভোটদান করতে পারেন সাংসদ ও বিধায়করা। আগামী ২৬ ডিসেম্বর বাংলার একটি সহ দেশের মোট ৬টি রাজ্যসভার আসনে উপ নির্বাচন হবে। তার মধ্যে আছে অন্ধ্র প্রদেশের তিনটি, পশ্চিমবঙ্গ, ওডিশা ও হরিয়ানার একটি করে আসন। দেশের এই ৬টি রাজ্যসভার আসনে উপ নির্বাচন হচ্ছে কারণ সাংসদরা পদত্যাগ করছেন।

লোকসভা ভোট থেকে শুরু হওয়া মমতা ঝড় রাজ্যের উপনির্বাচনও চলছে। লোকসভায় ২৯টি আসনে জয়ের পর, জুলাইয়ে মানিকতলা,বাগদা, রানাঘাট দক্ষিণ, রায়গঞ্জ বিধানসভা উপ নির্বাচনে জিতেছিল তৃণমূল। তারপর গত সপ্তাহে হওয়া ভোটে রাজ্যের ৬টি বিধানসভা আসনের উপ নির্বাচনে ১০০ শতাংশ সফলতা পন মমতা। আরজি কর আন্দোলনের কোনও প্রভাব উপভোটে ওই ৬ আসনে পড়েনি। রাজ্যে একের পর এক নির্বাচনে হেরে বঙ্গ বিজেপি-র হাল খারাপ। অন্যদিকে, যত সময় যাচ্ছে ততই ভোট কমছে বাম দলগুলির।

রাজ্য়সভায় এখন তৃণমূলের সাংসদরা হলেন- ডেরেক ও'ব্রায়েন, সুব্রত বক্সি, দোলা সেন, সুখেন্দু শেখর রায়,মৌসম বেনজির নুর, মহম্মদ নাদিমুল হক, শমিরুল ইসলাম, সাগরিকা ঘোষ, মমতাবালা ঠাকুর, সুস্মিতা দেব, প্রকাশ চিক বারিক, সাকেত গোখেল।