কলকাতা, ৯ অক্টোবর: নবান্ন অভিযানের একদিন পর বিজেপির (BJP) জাতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়, বিজেপির মহিলা মোর্চার সভাপতি লকেট চ্যাটার্জি, অর্জুন সিং, রাকেশ সিং, বিজেপি নেতা ভারতী ঘোষ এবং জয়প্রকাশ মজুমদারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে কলকাতা পুলিশ। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
দিলীপ ঘোষ এদিন জানান,"রাজ্যের পুলিশ তৃণমূলের ক্যাডারের মতো কাজ করছে। এর থেকে বোঝাই যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ভয় পেয়েছিলেন, তাই তো পুলিশকে কাজে লাগিয়েছে। বিজেপির কিছু নেতানেত্রীদের বিরুদ্ধে মামলার তীব্র নিন্দা করছি। এভাবে গণতন্ত্র চলতে পারে না। আমরা আইনানুযায়ী লড়ে যাব।" আরও পড়ুন, মুকুল রায়, লকেট-সহ ৭ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের কলকাতা পুলিশের
Police are working like Trinamool Congress cadre. it is clear that CM Mamata Banerjee is scared & is hence using police as her cadre. The cases lodged against us are shameful. This is not how a democracy works, we will fight legally: West Bengal BJP president Dilip Ghosh https://t.co/6WXs796t5Q pic.twitter.com/MrgKlYlHO8
— ANI (@ANI) October 9, 2020
বৃহস্পতিবার বিজেপির নবান্ন অভিযানকে (Nabanna Chalo Agitation) কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে কলকাতা এবং হাওড়ার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান স্প্রে ব্যবহার করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ কয়েকটি জায়গায় লাঠিচার্জ করে পুলিশ (Kolkata Police)। গুরুতর আহত হন বিজেপির একাধিক কর্মী-সমর্থকেরা।
যুব মোর্চার কর্মসূচি হলেও বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায় এবং রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মত বেশ কয়েকজন বড়মাপের বিজেপি নেতা এদিনের অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার গোটা দিনই অচল হয়ে থাকে মহানগর। কৈলাস বিজয়বর্গীর মন্তব্য অনুযায়ী, এদিন শহর জুড়ে ১,৫০০ কর্মী এবং নেতা আহত হয়েছেন। 'শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকে হিংসাত্মক প্রতিবাদে গিয়ে দাঁড়ায় মমতাজির জন্য', এমনটাই দাবি করেছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এদিকে, বেআইনি জনসমাবেশ এবং আইন লঙ্ঘনের জন্য সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে কলকাতা পুলিশ।