কলকাতা, ২৪ সেপ্টেম্বর: বাংলাদেশে গরুপাচার চক্রের (Cow Smuggling Racket) হদিশ পেতে বুধবার ১২ টি জায়গায় তল্লাশি চালায় সিবিআই (CBI)। পাচার চক্রে নাম উঠে আসে বিএসএফের ৩৬ নম্বর ব্যাটেলিয়নের প্রাক্তন কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমার এবং মুর্শিদাবাদের তিন ব্যবসায়ী এনামুল হক, আনারুল শেখ ও মহম্মদ গোলাম মুস্তাফার। তাঁদের জেরার সূত্রেই বিভিন্ন স্থানে তাদের একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি চালায় সিবিআই।
এরপর গরু পাচার চক্রে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। নজরে আরও ১২ অফিসার। নজরে বিএসএফের ৭, শুল্ক দফতরের ৫ আধিকারিক। ১২ আধিকারিকের মদতেই ২ বছর ধরে গরু পাচার চলত। ২০১৫ থেকে ২০১৭-র মধ্যে গরু পাচারের অভিযোগ ওঠে। মূল অভিযুক্ত এনামুল হকের সঙ্গে আরও ২ ব্যবসায়ীর যোগ। পাচারে যুক্ত আনারুল শেখ ও গোলাম মোস্তাফা নামে দুই ব্যবসায়ী। ৩ ব্যবসায়ীর সঙ্গেই ১২ আধিকারিকের সক্রিয় যোগ, খবর সংবাদমাধ্যমের। আরও পড়ুন, ‘নিজের জেলা বক্সারের মানুষ যদি চায় তাহলে আমি রাজনীতিতে যোগ দেব’ এএনআই-কে বললেন গুপ্তেশ্বর পাণ্ডে
জানা গেছে, সতীশের আমলে প্রায় ২০ হাজার গরু পাচার হওয়ার সময় ধরা পড়ে। সেই গরু ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিলামে তোলা হয় এবং কিছু গরুকে নিম্নমানে এবং কিছু গরুকে বাছুর হিসেবে দেখিয়ে সস্তায় নিলামে বেচে দেওয়া হয়। এনামুলরা তা কিনে বাংলাদেশে পাচার করে দেয়। সিবিআইয়ের দাবি, বিএসএফ গরু-পিছু ২০০০ টাকা এবং কাস্টমস গরু পিছু ৫০০ টাকা ঘুষ নিয়েছিল। আবার নিলামের দামের ১০%-ও কাস্টমসকে দিতেন এনামুলরা। গরু পাচার চক্রে একাধিক প্রভাবশালীর যোগও রয়েছে, বলে জানিয়েছে সিবিআই।