কলকাতা, ১৬ ডিসেম্বর: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (CAA) বিরোধিতায় (Protest) আজ পথে নামছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (CM Mamata Banerjee)। পর পর তিনদিন (Three days) তিনি পদযাত্রা করবেন। আজ সোমবার দুপুর ১ টা নাগাদ রেড রোডে আম্বেদকর মূর্তি থেকে জোড়াসাঁকো পর্যন্ত মিছিল করবেন তিনি। প্রতিবাদের পাশাপাশি, রাস্তায় নেমে শান্তিরক্ষার আবেদনও জানাবেন। আজ তিনি টুইট করে এই বার্তা জানিয়েছেন।
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে তিনিও সায় দিয়েছেন। তবে তাণ্ডব চালিয়ে প্রতিবাদ নয় আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবুও, অশান্তি পুরোপুরি থামানো যায়নি। রবিবারও প্রতিবাদের নামে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ হয়, আগুন জ্বলে। সোমবার দুপুর ১টায় রেড রোডে (Red Road) আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশ থেকে মিছিল শুরু হবে। মেয়ো রোড হয়ে মিছিল পৌঁছবে জওহরলাল নেহরু রোডে। সেখান থেকে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ হয়ে জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়িতে (Jorasanko Thakurbari) মিছিল শেষ হবে। মঙ্গলবার দুপুর ১টায় যাদবপুর এইট বি বাসস্ট্যান্ড থেকে গান্ধীমূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত মিছিল হবে। আরও পড়ুন, শান্ত হচ্ছে পরিস্থিতি, আজ সকাল থেকে গুয়াহাটি, ডিব্রুগড়ে উঠল কার্ফু
A mega rally will be held today in #Kolkata to protest against unconstitutional #CABBill & #NRC. It will begin at 1pm near the statue of Babasaheb Ambedkar on Red Road & end at Jorasanko Thakurbari.(1/2)
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) December 16, 2019
২৪ ঘণ্টার খবর অনুযায়ী, বুধবারও প্রতিবাদ মিছিল কর্মসূচি হবে। হাওড়া ময়দান থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত পদযাত্রা করবেন তিনি। বিভাজনের রাজনীতির ফাঁদে পড়ে মানুষ যাতে নিজেদের মধ্যে অশান্তিতে জড়িয়ে না পড়েন, তারজন্য বার বার সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। শান্তির বার্তা দিতেই পথে নামবেন তিনি। রবিবার থেকেই অবশ্য পথে নেমেছেন তৃণমূলের বাকি নেতারা। তৃণমূল ছাড়াও বাম দলগুলিও এই আইনের প্রতিবাদে পথে নামে। পোড়ানো হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কুশ পুতুলও।
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদের সঙ্গেই শান্তিরক্ষার আবেদন করছেন তাঁরা। আসানসোলে মিছিলের নেতৃত্ব দেন মলয় ঘটক।ট্রাফিক কলোনি থেকে শুরু হয়ে গির্জা মোড় পর্যন্ত মিছিলে পা মেলান অসংখ্য তৃণমূল কর্মী সমর্থক। হাওড়ার শিবপুরে মন্ত্রী অরূপ রায়ের নেতৃত্বে পথে নামেন তৃণমূল কর্মীরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলায় নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে মিছিল করে তৃণমূল। নেতৃত্বে দেন বিধায়ক শওকত মোল্লা। NRC-র নামে দেশ ও জাতির মধ্যে কোনও বিভাজন বরদাস্ত নয়, জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে, পাশাপাশি তাঁর আবেদন, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখুন। প্রতিবাদের নামে আইন হাতে তুলে নেবেন না।