ডিব্রুগড়, ১৬ ডিসেম্বর: পরিস্থিতি আগের থেকে কিছুটা হলেও স্বাভাবিক হয়েছে। স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে গুয়াহাটি (Guwahati), ডিব্রুগড় (Dibrugarh) সহ অসমের (Assam) বহু এলাকাগুলি। আজ সকাল ৬ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত শিথিল থাকবে কার্ফু (Curfew) বলে জানিয়েছেন অসম পুলিশের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রাজীব সাইকিয়া (Rajiv Saikia)। গতকাল সকাল ৭ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত কার্ফু শিথিল রাখা হয়েছিল। শনিবারও সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত কার্ফু শিথিল ছিল। আজ রাত ৯ টার পর থেকে আবার কার্ফু জারি করা হবে।
অসমের অতিরিক্ত ডিরেক্টর অফ পুলিশ জি পি সিং জানিয়েছেন, পরিস্থিতি আগের থেকে অনেকটা উন্নতি হয়েছে। তাই আজ সকাল থেকে কার্ফু তুলে নেওয়া হল। আজ রাত ৯ টার পর থেকে আগামীকাল সকাল পর্যন্ত ফের কার্ফু জারি করা হবে।" ডিব্রুগড়ে সকাল ৬ টা থেকে রাত ৮ তা পর্যন্ত কার্ফু তুলে নেওয়া হয়েছে। আরও পড়ুন, জামিয়ার পাশে দেশের ছাত্রদল রবিবার রাতেই পথে নামল জেএনইউ, সতীর্থের সমর্থনে পাটনা, হায়দরাবাদ, কলকাতার ছাত্ররা
Assam Police: Situation in the state has improved immensely. We thank the people of Assam for following the spirit of the law. Day curfew has been withdrawn in Guwahati from 6 am of December 16. Night curfew would remain from 9 pm till tomorrow 6 am. pic.twitter.com/oUL9X099Ag
— ANI (@ANI) December 16, 2019
ডিব্রুগড়ে দুপুর ৩ টের মধ্যে সমস্ত বিক্ষোভ তুলে ফেলতে হবে বলে জানান উচ্চ জেলা আধিকারিক। গত কয়েকদিন ধরে অসম প্রতিবাদের আগুনে জ্বলছে। সেই আগুন ছড়িয়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গ সহ অন্যান্য রাজ্যগুলিতেও। রাস্তায় নেমে চলছে বিক্ষোভ। ফলে বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। পরিস্থিতি সামাল দিতে জারি হয় কার্ফু। বাতিল হল হাওড়াগামী বহু ট্রেন এবং উত্তরপূর্বের কিছু বিমানও।
অন্যদিকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (Citizenship (Amendment) Act (CAA)) প্রতিবাদে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jamia Millia Islamia) পড়ুয়া ও শিক্ষকদের ডাকা বিক্ষোভ ঘিরে রবিবার বিকেলে দিল্লির জামিয়া নগর এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিক্ষোভ চলাকালীন পরপর বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। চলে ভাঙচুর। যার জেরে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ব্যবহার করা হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল। পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসার পরে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযান শুরু করে দিল্লি পুলিশ। বিনা অনুমতিতে গায়ের জোরে পুলিশ ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ুয়াদের ব্যাপক মারধর করেছে বলে দাবি করেছেন চিফ প্রক্টর ওয়াসিম আহমেদ খান। পুলিশ ইতিমধ্যেই এই অভিযোগ অস্বীকার করলেও জামিয়ার পড়ুয়াদের উপরে এই পুলিশি আক্রমণের প্রতিবাদে পথে নেমে পড়েছে দেশের ছাত্রসমাজ।