নতুন দিল্লি, ২১ নভেম্বর: চাঁদের মাটিতে সফট ল্যান্ডিং নয়, হার্ড ল্যান্ডিং (Hard-Landing) করে চন্দ্রাযান ২-র ল্যান্ডার বিক্রম (Lander Vikram )। গতকাল সংসদে একথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদের মাটিতে বিক্রমের হার্ড ল্যান্ডিংয়ের কথা এই প্রথমবার সরকারি তরফে জানানো হল। যদিও এখনও অবধি ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ISRO) জানিয়েছে চাঁদের মাটি থেকে ৩৫৫ মিটার উপরে থাকাকালীন বিক্রম ল্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এদিকে অ্যামেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা (NASA) জানিয়েছিল চাঁদের মাটিতে বিক্রম হার্ড ল্যান্ডিং করে। গতকাল লোকসভায় এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর অফিসের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং (Union Minister of State Jitendra Singh) বলেন, চাঁদের মাটিতে অবতরণের চূড়ান্ত পর্যায়ে বিক্রম ল্যান্ডারের গতিবেগ নির্ধারিত মানের চেয়ে বেশি ছিল। ফলস্বরূপ বিক্রম চাঁদের মাটিতে হার্ড ল্যান্ডিং করে।
২২ জুলাই জিএসএলভি এমকে থ্রি রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দেয় চন্দ্রযান ২। ২ সেপ্টেম্বর বিক্রম কক্ষপথ থেকে আলাদা হয়ে যায়। ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদের লুনার সারফেসে বিক্রমের ল্যান্ড করার কথা ছিল। মন্ত্রী জানান, অবতরণের প্রথম পর্বে চন্দ্রপৃষ্ট থেকে ৩০ কিলোমিটার উচ্চতা থেকে ৭.৪ কিলোমিটার পর্যন্ত সব ঠিকঠাক চলছিল। ল্যান্ডার বিক্রমের গতিবেগ ১, ৬৮৩ মি / সেকেন্ড থেকে ১৪৬ মি/ সেকেন্ডে নামিয়ে আনা হয়েছিল। দ্বিতীয় পর্বের সময় গতিবেগ নির্ধারিত মানের চেয়ে বেশি ছিল। সেই কারণে লুনার সারফেসে নির্ধারিত ৫০০ মিটারের মধ্যে বিক্রম হার্ড ল্যান্ডিং করে। জিতেন্দ্র সিং জানান, হার্ড ল্যান্ডিং ছাড়া লঞ্চ, কক্ষপথ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া ও অন্য কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়। এছাড়া আটটি অত্যাধুনিক বৈজ্ঞানিক যন্ত্র সঠিক কাজ করছে এবং মূল্যবান বৈজ্ঞানিক তথ্য সরবরাহ করছে। অরবিটরের মেয়াদ সাত বছর করা হয়েছে। অরবিটার থেকে প্রাপ্ত তথ্য বৈজ্ঞানিকদের সরবরাহ করা হচ্ছে। আরও পড়ুন: Relief To Telecom Sector: টেলিকমে আপাতত স্বস্তি! স্পেকট্রামে ঋণ শোধের সময়সীমা বাড়াল কেন্দ্র
চন্দ্রযান ২ মিশনের খরচ সম্পর্কেও তথ্য দিয়েছেন জিতেন্দ্র সিং। তিনি জানান, চন্দ্রযান ২ অভিযানে খরচ হয়েছে ৬০৩ কোটি টাকা। শুধুমাত্র উৎক্ষেপণের জন্য খরচ পড়েছে ৩৬৭ কোটি টাকা। মোট ৯৭০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।