Death, Representational Image (Photo Credit: File Photo)

খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ব্যবসায় সফল হয়েছিলেন বারুইপুরের (Baruipur) এক যুবক। আর সেটাই বন্ধুদের ঈর্ষার কারণ হয়ে দাড়িয়েছিল। তারপরেই ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাই ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে, তারপর জোর করে মোবাইল খুলিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাঁকে খুন করে বারুইপুর খালে দেহ ফেলে দেয়। গত ৩১ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ থাকার পর ৫ ফেব্রুয়ারি তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তারপর থেকেই শুরু হয় অভিযুক্ত খোঁজে তল্লাশি অভিযান। এরমধ্যেই বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় যুক্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে অমিত নস্কর এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত।

সিটবেল্ট গলায় জড়িয়ে সোনুকে খুন করে বন্ধুরা

জানা যাচ্ছে, গত ৩১ জানুয়ারি কসবা থেকে সোনু রামকে গাড়িতে তুলেছিল অমিত নস্কর, অনুপ মণ্ডল, দীপ হালদার সহ কয়েকজন। চালকের পাশের সিটে বসেছিলেন সোনু। গাড়িটি খেয়াদহের দিকে যাচ্ছিল। তারপর তার ফোন কেড়ে নেয় বন্ধুরা। এরপর জোর করে সেই মোবাইলের পাসওয়ার্ড খুলে জোর করে কিউআর কোড স্ক্যান করে অমিতের অ্যাকাউন্টে ১ লক্ষ টাকা পাঠানো হয়। এরপর সিটবেল্ট গলায় জড়িয়ে সোনুকে শ্বাসরোধ করে খুন করে। তারপর লাইলনের দড়ি দিয়ে হাত-পা বেধে বারুইপুর খালে সোনুর দেহ ফেলে দেয় তাঁর বন্ধুরা।

স্ত্রীয়ের সঙ্গে ফোনে কথা

সোনুর একটি জুতো বেল্ট সারানোর দোকান ছিল। সেই ব্যবসায় এতটাই লাভ হয় যে রাতারাতি বারুইপুরে একটি ফ্ল্যাটও কিনে ফেলে সে। ৩১ জানুয়ারি দোকান বন্ধ করার পর স্ত্রীয়ের সঙ্গে শেষবার ফোনে কথা বলে সে। তারপর থেকে বাড়িতে ফেরেনি সোনু। অভিযোগ, কসবা থেকে বন্ধুদের গাড়িতে ওঠে যুবক। তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিল সে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি বারুইপুর খাল থেকে তাঁর পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তারপরেই শুরু হয় তদন্ত।