বিশ্বকাপে অবিশ্বাস্য ফর্মে বিরাট কোহলি। রবিবার ধর্মশালায় কোহলির দুরন্ত ৯৫ রান ও মহম্মদ শামির ৫ উইকেটের অবিশ্বাস্য স্পেলে ভর করে নিউ জিল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারাল টিম ইন্ডিয়া। দীর্ঘ ২০ বছর বাদে আইসিসি-র কোনও টুর্নামেন্টে নিউ জিল্যান্ডকে হারাল ভারত। টানা পাঁচটা ম্যাচে জিতে সেমিফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল টিম ইন্ডিয়া। অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশের পর নিউ জিল্যান্ডকেও হারিয়ে দিল ভারত। আর এই পাঁচটা ম্য়াচেই জয় এল রান তাড়া করে। তবে কিউইদের বিরুদ্ধে জয়টা কষ্ট করেই এল রোহিতদের। ভারত বাদে চলতি বিশ্বকাপের সব দলই অন্তত একটা ম্যাচে হেরেছে।
জয়ের জন্য ২৭৪ রান তাড়া করতে নেমে ১৯১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে রীতিমত চাপে পড়ে গিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। সেখান থেকে ষষ্ঠ উইকেটে কোহলি-জাদেজা চাপের মুখে ৭৮ রান যোগ করে ম্যাচ বের করে নেন। ওভার বাউন্ডারি মেরে সেঞ্চুরি করার কথা ভেবে পাঁচ রানের জন্য টানা বিশ্বকাপে দুটো ম্যাচে তিন অঙ্কের রান হাতছাড়া হল কোহলির। শেষ অবধি ৩৯ রানে অপরাজিত থেকে সামিকে সঙ্গে নিয়ে দেশকে জিতিয়ে আনলেন জাড্ডু। আরও পড়ুন-প্রথম ইনিংসের রিপোর্ট
কোহলি যখন আউট হন, তখন জয় থেকে ৫ রান দূরে ছিল ভারত। দু ওভার বাকি থাকতে জেতে ভারত। রোহিত শর্মা (৪৬) শুরুটা ভাল করলেও বোল্ড হয়ে যান। গিল (২৬) সেট হওয়ার মুখে আউট হন। শ্রেয়স আইয়ার সেট হয়ে খারাপ শট খেলে ব্যক্তিগত ২২ রানে আউট হন। মোক্ষম সময়ে আউট হন কেএল রাহুল (২৭)। হার্দিকে চোটে সুযোগ পেয়ে বিশ্বকাপের অভিষেক ম্যাচে রান আউট হলেন সূর্যকুমার যাদব (২)। এত কিছুর পরেও কিং কোহলির দক্ষতায় ভারত অনায়াসে জিতল
ভারতের প্রথম পাঁচটি ম্যাচে জয়
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে: ৬ উইকেটে জয়ী। ৫২ বল বাকি থাকতে।
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে: ৮ উইকেটে জয়ী। ৯০ বল বাকি থাকতে।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে: ৭ উইকেটে জয়ী। ১১৭ বল বাকি থাকতে।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে: ৭ উইকেটে জয়ী। ৫১ বল বাকি থাকতে।
নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে: ৪ উইকেটে জয়ী। ১২ বল বাকি থাকতে।
ভারতের আগামী চারটি ম্যাচ-
ইংল্যান্ড: ২৯ অক্টোবর, লখনৌ
শ্রীলঙ্কা: ২ নভেম্বর, মুম্বই
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৫ নভেম্বর, কলকাতা
নেদারল্যান্ডস: ১২ নভেম্বর, বেঙ্গালুরু