
দিল্লি, ১৯ মার্চ: মার্চেন্ট নেভি অফিসার খুনের (Merchant Navy Officer Killed) ছবি সামনে আসার পর থেকে দেশ জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সৌরভ রাজপুত নামে যে মার্চেন্ট নেভি অফিসারকে খুন করা হয়, সেই ঘটনায় জড়িত তাঁর স্ত্রী এবং বন্ধু। স্বামীর বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে মার্চেন্ট নেভি অফিসারকে খুন করে মুসকান রাস্তোগি। এরপর সৌরভের দেহ ১৫ টুকরোতে কেটে, প্রেমিক সাহিল শুক্লর সঙ্গে সিমলায় বেড়াতে যায় মুসকান। সাহিল শুক্লর সঙ্গে সিমলায় বেড়াতে গিয়ে, মুসকান একাধিক ছবি আপলোড শুরু করে সৌরভের ফোন থেকে। যেখানে মুসকান এবং সাহিলের ছবি থাকলেও, দেখা মেলেনি সৌরভের। শুধু তাই নয়, সৌরভকে যখন বাড়ির লোকজন ফোন করেন, সেই সময় অপর প্রান্ত থেকে তাঁরা কোনও সাড়াশব্দ পাননি। আর তখন থেকেই সৌরভ রাজপুতের বাড়ির লোকের মনে সন্দেহ দানা বাধতে শুরু করে।
সৌরভ-মুসকানের বিয়ে
২০১৬ সালে সৌরভ এবং মুসকানের বিয়ে হয়। মার্চেন্ট নেভিতে চাকরি করায় সৌরভ খুব বেশি সময় দিতে পারতেন না মুসকানকে। তাই মার্চেন্ট নেভির চাকরি ছাড়েন সৌরভ। মুসকানকে নিয়ে একটি ভাড়া বাড়িতে ওঠেন তিনি। ২০১৯ সালে মুসকান এবং সৌরভের এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। যার নাম পিহু। বাবা, মায়ের সঙ্গে মুসকানের বনিবনা না হওয়ায়, সৌরভ স্ত্রীকে নিয়ে ব্রক্ষ্মপুরীর ইন্দিরানগরে থাকতে শুরু করেন।
২০২০ সালে সৌরভ রাজপুত লন্ডনে চাকরি পেলে, সমস্যা নতুন করে শুরু হয়। স্ত্রী মুসকান এবং কন্যা পিহুকে নিয়ে তিনি লন্ডনে যেতে পারেননি। ফলে তাঁদের মীরাটের বাড়িতে রেখে সৌরভ লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দিলে, স্বামী, স্ত্রীর মধ্যে বিভেদ আরও প্রকট হয়। আর তখন থেকেই মুসকান নতুন করে সাহিলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায় বলে জানা যায়।
খুনের রাতের ঘটনা
এরপর লন্ডন থেকে সৌরভ মেয়ের জন্মদিনে বাড়িতে ফিরলে, তাঁর খাবারে ঘুমের ওষুধ মেশায় মুসকান। খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে সৌরভকে খুন করে। এরপর পেশায় চ্যাটার্ড অ্যাকাউনট্যান্ট সাহিল সৌরভের দেহাংশ ১৫ টুকরোয় কেট প্লাস্টিকের ড্রামে ভরে, তার উপর সিমেন্ট পেস্ট করে দেয়। যা প্রকাশ্যে আসতেই কার্যত অবাক হয়ে যায় পুলিশ।