Mohammed Shami has taken 36 wickets from just 12 innings in the ICC Cricket World Cup.

রবিবার ধর্মশালায় ভারতের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপে দুরন্ত ইনিংস কিউই ব্যাটার ড্যারি মিচেলের। রোহিত শর্মার তারকাখচিত বোলিং লাইনআপকে অনায়াসে সামলে মিচেল করলেন ১৩০ রান। বিশ্বকাপে ভারতের মাটিতে টিম ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে এটাই কোনও কিউই ক্রিকেটারের প্রথম সেঞ্চুরি। মিচেল-রচিন রবীন্দ্রর দুরন্ত ইনিংসে ভর করে নিউ জিল্যান্ড করল ২৭৩ রান। তার মানে চলতি বিশ্বকাপে ভারতকে টানা পাঁচটে ম্যাচে জিততে গেলে করতে হবে ২৭৪। এদিন ধর্মশালায় দুরন্ত স্পেল করলেন মহম্মদ সামি। শার্দুল ঠাকুরের জায়গায় খেলতে নেমে শামি ৫৪ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিলেন।

বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম ভারতীয় হিসেবে দু বার পাঁচ উইকেট নেওয়ার নজির গড়লেন শামি। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর ২০২৩ বিশ্বকাপে তার প্রথম ম্যাচতে খেলতে নেমে শামি পাঁচ উইকেট নেওয়ার নজির গড়লেন।

একটা সময় মনে হচ্ছিল রোহিতদের বিরুদ্ধে অনায়াসে ৩০০ প্লাস রান করে ফেলবে কিউইরা। এই পিচে ৩০০ প্লাস স্কোর তাড়া করাটা টিম ইন্ডিয়ার পক্ষে মানসিক দিক থেকে চাপের হত। তার ওপর প্রতিপক্ষের নাম যদি আবার হয় বরাবরের গাঁট নিউ জিল্যান্ড। কিন্তু শেষ ১০ ওভারে অনবদ্য বোলিং করলেন শামিরা। শেষ দশ ওভারে ভারতের বোলাররা দিলেন মাত্র ৫৪ রান। যে কারণে কিউইদে্র রানটা রোহিত-বিরাটদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই থাকল।

ভারতের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দুরন্ত সেঞ্চুরি করলেন কিউই তারকা ড্যারি মিচেল (Daryl Mitchell )। কঠিন সময়ে ব্যাট করতে নেমে বুমরা, সিরাজদের দারুণ সামলে বিশ্বকাপের ইতিহাসে ভারতের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি হাঁকানো নিউ জিল্যান্ডের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হলেন ৩২ বছরের হ্যামিলটনের তারকা ব্যাটার। ওয়ানডে-তে তাঁর এটি পঞ্চম সেঞ্চুরি। ১৯৭৫ বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করেছিলেন কিউই তারকা গ্লেন টার্নার। এরপর থেকে আর কোনও কিউই ব্য়াটার ভারতের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপে তিন অঙ্কের রান করতে পারেননি। ৪৮ বছর বাদে সেটাই করলেন মিচেল। ভারতের বিরুদ্ধে ভারতের মাটিতে প্রথম কিউই ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরি করলেন তিনি।

তৃতীয় উইকেটে রচিন রবীন্দ্র (Rachin Ravindra)-র সঙ্গে ১৫৯ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে বড় বিপদ থেকে উদ্ধার করেন মিচেল। ব্যক্তিগত ৭৫ রানে রবীন্দ্র আউট হওয়ার পর নজির গড়া সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মিচেল। নিউ জিল্যান্ড মাত্র ১৯ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল।

ডেভিড কনওয়ে (০)-কে আউট করেন সিরাজ। আর সামি আক্রমণে এসেই ফেরান উইল ইয়ং (১৭)। কিন্তু এরপর রবীন্দ্র ও মিচেল ভারতীয় বোলারদের দারুণ সামলে দলের রানকে ভাল জায়গায় নিয়ে যান।