Kagiso Rabada and Marco Jansen. (Photo Credits: X)

সেঞ্চুরিয়ানে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে পাকিস্তানকে ২ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই সঙ্গে দুই টেস্টের সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেলেন বাভুমারা। একেবারে খাদের কিনারা দাঁড়িয়ে নবম উইকেটে ৫১ রানের পার্টনারশিপ করে দলকে জেতালেন দু টেলেন্ডার ব্যাটার- রাবাদা ও জেনসেন। আগামী বছর জুনে লর্ডসে বিশ্ব টেস্টের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিপক্ষ হওয়ার জন্য লড়বে অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশে গিয়ে বাংলাদেশকে ২-০ হারিয়ে আসার পর নিজেদের দেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কাকে দেশের মাটিতে ২-০ হারান বাভুমারা। ফলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুই টেস্টের সিরিজে অন্তত ১টি-তে জিতলেও বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যোগ্যতাঅর্জন করে ফেলত দক্ষিণ আফ্রিকা। সেঞ্চুরিয়ানে জয়ের ফলে বাভুমারা বাকিদের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেলেন। প্রসঙ্গত, প্রথম দুটি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল হয়েছিল যথাক্রমে ভারত বনাম নিউ জিল্যান্ড ও ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়য়ার মধ্যে।

থ্রিলার জয় দক্ষিণ আফ্রিকার

বক্সিং ডে টেস্টে পাকিস্তানকে হারাতে হলে চতুর্থ ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকাকে করতে হত ১৪৮ রান। রবিবার টেস্টের চতুর্থ দিনে প্রোটিয়ারা নেমেছিল ২৭ রানে ৩ উইকেটে অবস্থা থেকে। কম রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে পাকিস্তানের পেসার মহম্মদ আব্বাসের সামনে অসহায় দেখাচ্ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারদের। দিনের শুরুটা আইডন মার্করাম, তেম্বা বাভুমা-রা ভাল খেললেও, আব্বাস ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে। ৩ উইকেটে ৬২ থেকে ৯৯ রানের মধ্যে ৮ উইকেট হারিয়ে বসে দক্ষিণ আফ্রিকা। মার্করাম আউটের পর পরপর প্যাভিলয়নে ফেরেন বাভুমা (৪০), কেইল ভেররেয়াম (২), ডেভিড বেডনিংহাম (১৪), ক্রোবিন বোস (০)।

ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা

রাবাদা-জেনসেনের দুরন্ত পার্টনারশিপ

বাভুমারাও তখনও জয় থেকে ৪৯ রানে দূরে, হাতে মাত্র ২ উইকেট। অনেকেই তখন ধরেছিলেন চোকার্স তকমা বজায় রেখে আরও একবার মোক্ষম সময়ে ম্যাচ হেরে বসবে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু সেখান থেকে নবম উইকেটে অবিচ্ছদ্য ৫১ রানের পার্টনারশিপ করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ফাইনালে তুললেন মার্কো জেনসেন (১৬) ও কাগিসো রাবাদা (২৬ বলে ৩১)।

দেখুন সেঞ্চুরিয়ান টেস্টের স্কোরবোর্ড

দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৪ রানে ৬ উইকেট নেওয়া দুরন্ত স্পেল করলেও দলকে জেতাতে পারলেন না পাক পেসার মহম্মদ আব্বাস। নাসিম শাহ ও খুররম শাহজাদ ১টি করে উইকেট নেন। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান ২১১ রানে অল আউট হয়ে যায়। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা করেছিল ৩০১। এরপর পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে করে ২৩৭ রান। ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে টেস্ট জয়ের জন্য টার্গেট ছিল ১৪৮ রান।