BCB on BPL Fixing Allegation: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ২০২৪-২৫ মরসুমে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। ক্রিকবাজের রিপোর্ট অনুযায়ী, অ্যান্টি করাপশন ইউনিট এর আগে ৮টি ম্যাচে সম্ভাব্য ম্যাচ বা স্পট ফিক্সিংয়ের আভাস পেয়েছিল। এখন বাংলাদেশের এই ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগের তদন্তে করতে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিপিএলের এই আসর নানা বিতর্কে ভরা। প্রথমে এখানে উঠে আসে বকেয়া ও বেতন পরিশোধ না করায় বিদেশি খেলোয়াড়রা লিগ বয়কট করার ঘটনা। এরপর মাঠে কম দর্শক আসা এবং অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে (বিদেশী হোস্ট) খরচের কারণে লিগটি ব্যাপক ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এখন বিতর্কের তালিকায় উঠে এসেছে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগও। Durbar Rajshahi Apologized: বেতন না পাওয়ায় খেলোয়াড়দের প্রতিবাদ, ক্ষমা চাইল বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি দরবার রাজশাহী
সন্দেহের তালিকায় যে যে ম্যাচ
ক্রিকবাজের রিপোর্ট বলছে, এই মুহূর্তে ১০ জন খেলোয়াড় এই তদন্তের অধীনে রয়েছে। তদন্তাধীন ১০ ক্রিকেটারের মধ্যে ছয়জন বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন, দুজন আনক্যাপড বাংলাদেশি ক্রিকেটার এবং দুজন বিদেশি ক্রিকেটার। এছাড়া চারটি ফ্র্যাঞ্চাইজির উপর ভালো করে নজর রাখা হচ্ছে। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মধ্যে দরবার রাজশাহী, ঢাকা ক্যাপিটালস, সিলেট স্ট্রাইকার্স ও চট্টগ্রাম কিংসের ওপর নজর রাখা হয়েছে।
ফরচুন বরিশাল বনাম রাজশাহী (৬ জানুয়ারি)
রংপুর রাইডার্স বনাম ঢাকা (৭ জানুয়ারি)
ঢাকা বনাম সিলেট (১০ জানুয়ারি)
রাজশাহী বনাম ঢাকা (১২ জানুয়ারি)
চট্টগ্রাম বনাম সিলেট (১৩ জানুয়ারি)
বরিশাল বনাম খুলনা টাইগার্স (২২ জানুয়ারি)
ম্যাচ ফিক্সিং ও স্পট ফিক্সিংয়ের খবর প্রকাশের পর বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ ক্রিকবাজকে বলেন, কেউ অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে বোর্ড।
ঘোষণার একদিন পরে, বিসিবি লিগের অখণ্ডতা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি ফের দিয়ে তদন্তে এসিইউকে সহায়তা করার জন্য একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে তিনি। তবে বিপিএলে এই ফিক্সিংয়ের ঘটনা নতুন নয় ২০১২ সালে শুরু হওয়ার পর থেকেই একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে বিপিএলের বিরুদ্ধে। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট তারকা মহম্মদ আশরাফুল ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায় স্বীকার করে আট বছরের জন্য ব্যান হন।