Hardik Pandya & Surya Kumar Yadav (Photo Credit: ICC/ X)

বৃহস্পতিবার বার্বাডোজে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইট ম্যাচে ভারতীয় ক্রিকেট দল কালো আর্মব্যান্ড পরে প্রাক্তন ভারতীয় পেসার ডেভিড জনসনের (David Johnson) সম্মানে। শেষ কালে তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৫২ বছর। ১৯৯৬ সালে দুই টেস্টে অংশ নিয়ে তিন উইকেট নেন জনসন। ১৯৯৬ সালে নয়াদিল্লিতে অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে অভিষেক ঘটে তার। ঐ খেলায় তিনি মাইকেল স্লেটারকে আউট করেন। ডানহাতি এই বোলার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও অংশ নিয়েছিলেন, তবে কেবল সেই সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলেন এবং তাঁর শিকার হন হার্শেল গিবস ও ব্রায়ান ম্যাকমিলান। জনসন দ্রুততম ভারতীয় বোলারদের মধ্যে একজন ছিলেন এবং ১৯৯৫-৯৬ রঞ্জি ট্রফি মরসুমে কেরালার বিপক্ষে ১৫২ রানে ১০ উইকেট নেন যা তাকে ভারতীয় দলে প্রবেশ করতে সহায়তা করেছিল। ঘরোয়া ক্রিকেটে ৩৯টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে ১২৫ উইকেট পান। এছাড়া চারটি ৫ ও একটি ১০ উইকেট ছিল। David Johnson Dies: বারন্দা থেকে পড়ে মারা গেলেন ভারতের প্রাক্তন পেসার ডেভিড জনসন, কুম্বলে-গম্ভীরের শোক প্রকাশ

ভারত বনাম আফগানিস্তান ফলাফল

বার্বাডোজে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। মেন ইন ব্লু অধিনায়ক রোহিত শর্মার প্রথম উইকেট হারায় ফজলহক ফারুকির বলে। ঋষভ পন্থ এবং বিরাট কোহলি কিছুক্ষণের জন্য ভারতীয় ইনিংসকে স্থিতিশীল করেছিলেন, তবে বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান শীঘ্রই রাশিদ খানের বলে ২০ রানে ফিরে যান। পরের কয়েক ওভারে বিরাট কোহলি এবং শিবম দুবের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়ে আফগানিস্তান খেলায় তাদের মুঠো শক্ত করে। তবে সূর্যকুমার যাদব ও হার্দিক পান্ডিয়ার ৬০ রানের পার্টনারশিপ নিশ্চিত করে ভারত তাদের ২০ ওভারে প্রথম ইনিংসে ১৮১/৭ সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়।

জবাবে ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে হজরতউল্লাহ জাজাইকে ২ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান পেসার জসপ্রীত বুমরাহ। চতুর্থ ওভারে রহমানউল্লাহ গুরবাজ এবং ইব্রাহিম জাদরানের দ্রুত উইকেট আফগানিস্তানের জন্য পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তোলে কারণ তখন তারা ২৩ রানে ৩ উইকেট। সেখান থেকে আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও গুলবাদিন নাইবের ৪৩ রানের জুটি আফগানিস্তানকে কিছুক্ষণের জন্য খেলায় রাখে। তবে, আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যানরা কখনই প্রয়োজনীয় রান রেটের সাথে মিলিয়ে খেলতে পারেনি, ওমরজাই ফিরে গেলে শেষ পর্যন্ত তারা ১৩৪ রানে অলআউট হয়ে যায়।