নাজমুল হাসান পাপনের (Nazmul Hasan Papon) পদত্যাগের পর বুধবার ঢাকায় বোর্ড সভার পর বিসিবির সভাপতি নির্বাচিত হন ফারুক আহমেদ (Faruque Ahmed)। ফারুকই প্রথম বিসিবি সভাপতি যিনি কোনো প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলেছেন। তিনি ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৯ সালের মধ্যে সাতটি ওয়ানডে খেলেছেন এবং ১৯৯৪ সালে আইসিসি ট্রফিতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) তাকে ও নাজমুল আবেদীন ফাহিমকে পরিচালক হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার পর বিসিবির পরিচালকদের সভায় যোগ দেন ফারুক। এনএসসি তাদের বর্তমান পরিচালক জালাল ইউনুস ও আহমেদ সাজ্জাদুল আলমকে সরিয়ে ফাহিম ও ফারুককে নিয়োগ করেছে। ইউনূস সোমবার পদত্যাগ করলেও আলম পদত্যাগ না করায় এনএসসিকে তাদের যথাযথ পদক্ষেপ নিতে বলেন। এনএসসি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিসিবির সভায় পরিচালক মাহবুবুল আনাম, খালেদ মাহমুদ, আকরাম খান, সালাউদ্দিন আহমেদ, কাজী ইনাম আহমেদ, ইফতেখার আহমেদ ও ফাহিম সিনহা উপস্থিত ছিলেন। PAK vs BAN 1st Test Toss Update: বৃষ্টি ভেজা রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে টসে দেরি, লাঞ্চের পর শুরু খেলা
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সভাপতি হয়ে কি বলছেন ফারুক আহমেদ
Newly elected Bangladesh Cricket Board President, Mr. Faruque Ahmed, shares his reaction after taking the helm.#BCB #Cricket #BDCricket #Bangladesh pic.twitter.com/1I1kL1nSZ6
— Bangladesh Cricket (@BCBtigers) August 21, 2024
ESPNCricinfo-এর খবর অনুসারে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে হাসানসহ বাকি ১৬ পরিচালক ঢাকা থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। বৈঠকে ফাহিমকে এনএসসি মনোনীত দ্বিতীয় পরিচালক হিসেবে অভিষিক্ত করা হয়। এরপর বিসিবির অন্যতম স্বাক্ষরকারী ইসমাইল হায়দার মল্লিকের পরিবর্তে ফাহিম সিনহাকে দলে নেওয়া হয়েছে। মল্লিককে বোর্ডে হাসানের নিকটতম সহযোগী এবং সবচেয়ে শক্তিশালী পরিচালক হিসাবে বিবেচনা করা হত। তিনি বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান, মার্কেটিং কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সেক্রেটারি ছিলেন। ঢাকায় নিখোঁজ ১৬ জন বোর্ড পরিচালকের মধ্যে মল্লিক অন্যতম। বাংলাদেশ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভেন্যু পরিবর্তনের বিষয়েও পরিচালকদের অবহিত করা হয়, তবে বিসিবি টুর্নামেন্টের আয়োজক হিসাবে রয়েছে।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী উপস্থিত সবাইকে জানান, আনুষ্ঠানিকভাবে সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন হাসান। এর কিছুদিন পর বর্তমান পরিচালকরা সর্বসম্মতিক্রমে ফারুককে নতুন প্রধান হিসেবে নির্বাচিত করেন। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে দুই মেয়াদে প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করেন ফারুক। ২০০৩ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত তিনি দায়িত্বে ছিলেন। মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালসহ অন্যান্য তরুণ খেলোয়াড়দের সুযোগ দিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটে নতুন যুগের সূচনা করার কৃতিত্ব তার। ২০১৩ সালে তিনি প্রধান নির্বাচক হিসাবে ফিরে আসেন তবে ২০১৬ সালে হাসান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে এবং বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদকে নির্বাচক প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য নির্বাচক প্যানেলটি প্রসারিত করার সিদ্ধান্ত নিলে পদত্যাগ করেন।