ডিসিশন রিভিউ সিস্টেমের (DRS) প্রবর্তন ক্রিকেটে বিপ্লব ঘটিয়েছিল। ২০০৮ সালে ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচ চলাকালীন প্রথম DRS-র ব্যবহার হয়। এই নিয়ম ক্রিকটের দৃষ্টিভঙ্গি বদলেছে এবং আম্পায়ারের ভুল হলেও এই নিয়মেই তা রোখা যাচ্ছে। বলা চলে ক্রিকেটারদের প্রতি আরও ন্যায়বিচার এনেছে DRS। ক্রিকেটে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ফসল DRS। তবে একদল গলি ক্রিকেটার গোটা বিশ্বকে দেখিয়ে দিল কীভাবে কোনও প্রযুক্তির সহায়তা ছাড়াই DRS ব্যবহার করা যায়। শুক্রবার ভারতীয় দলের ক্রিকেটার রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravi Ashwin) একটি হাসির ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন। যাতে দেখা যাচ্ছে একদল গলি ক্রিকেটার কোনও প্রযুক্তির সহায়তা ছাড়াই DRS ব্যবহার করছে।
DRS-র ব্যবহার কেবলমাত্র উপলব্ধ প্রযুক্তি এবং স্লো-মোশন ক্যামেরা, স্নিকো মিটার, বল-ট্র্যাকিং হিট সেন্সর এবং স্টাম্প মাইক্রোফোনের ওপর নির্ভর করে। তবে এখানে খুদেরা কোনও ধরণের প্রযুক্তির সহায়তা ছাড়াই DRS-র ব্যবহার দেখাচ্ছে। অশ্বিন তাঁর ইনস্টাগ্রাম পেজে লিখেছেন, "এগুলি পারা যায় না .. কীভাবে এর ক্যাপশন দিতে হয় তাও জানি না।"
ভিডিয়োতে একদল বাচ্চাকে গলি ক্রিকেট খেলতে দেখা যায়। ব্যাটসম্যান শট খেলে এবং ডেলিভারি মিস করে। এরপর উইকেট কিপার, বোলার এবং ফিল্ডাররা ক্য়াচ আউটের আপিল করে। এরপরে আম্পায়ার ব্যাটসম্যানকে ক্যাচ-আউট করে আউট দেয়। তবে এই সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট ব্যাটসম্যান অ্যাম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং DRS-র নেয়। ভিডিয়োতে একটি ছেলেকে ডিআরএস ব্যবহার করার জন্য অঙ্গভঙ্গি করতে দেখা যায়। এটা কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ নয় এবং কোনও প্রযুক্তিও উপলভ্য নয়। ভিডিয়োতে একটি ছেলেকে বলের ট্রাজেক্টোরি দেখাতে দেখা যায়, অন্যটি সেই মুহুর্তটি দেখাতে দেখা যায় যখন বলটি পাস করেছিল। ক্রিকেটে থার্ড অ্যম্পায়ার যেভাবে প্রযুক্তির ব্যবহার করেন, ঠিক সেটাই দেখানো হচ্ছিল, তবে কোনও প্রযুক্তি ছাড়া, পুরোটাই নাটকীয়তায় মোড়া।