Shakib Al Hasan: সাকিব আল হাসানকে দু বছর নির্বাসন ICC-র, শাস্তি পেয়ে যা বললেন বাংলাদেশের অধিনায়ক
সাকিব আল হাসান। (Photo Credits: Getty Images)

বাংলাদেশের মহাতারকা অলরাউন্ডার তথা অধিনায়ক সাকিব আল হাসান (Shakib Al Hasan)-কে দু বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত করল আইসিসি। ম্যাচ গড়াপেটার প্রস্তাব গোপন করার জন্য সাকিবকে এই শাস্তি দেওয়া হল। বাংলাদেশের টেস্ট ও টি টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিবের দু বছরের মধ্যে এক বছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞা। ভবিষ্যতে একই ধরনের অপরাধ করলে এই স্থগিত নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। আইসিসির দুর্নীতি-বিরোধী আইনের তিনটি আইন লঙ্ঘনের অপরাধে সাকিবকে এ শাস্তি দিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। সাকিব আল হাসান তাঁর ভুল স্বীকার করেছেন।

আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটের কাছে তথ্য না জানানোর এ শাস্তি পেয়েছেন সাকিব। তদন্তে দেখা গিয়েছে মোট তিনবার সাকিবকে ম্যাচ গড়াপেটার প্রস্তাব, তার মধ্যে দু বার আইপিএলে। দেখা গিয়েছে, বারবারই সাকিব তা প্রত্যাখান করেছেন। কিন্তু অপরাধ হল, সাকিব তা আইসিসি-কে জানাননি। যা বড় অপরাধ হিসেবে ধরা হয়। কারণ ক্রিকেটাররা যদি গড়াপেটার প্রস্তাব পাওয়ার পরও দুর্নীতি দমন ইউনিটকে না জানান, তাহলে ক্রিকেটকে কলঙ্কমুক্ত রাখা যাবে না। এই অভিযোগেই সাকিবকে এই শাস্তি হল। আরও পড়ুন-সাদা খোলামেলা লেহেঙ্গায় উষ্ণতা ছড়াচ্ছিলেন বেশ, আগুন লেগে হঠাৎ ঘটল বিপত্তি

ক মাস আগে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স করে গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের মহাতারকা অলরাউন্ডার-অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ বিশ্বকাপে হতাশ করলেও, সাকিব একাই মাতিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু বিশ্বকাপের ক মাস পরেই অন্ধকারে সাকিবের ভবিষ্যৎ। দেশের বোর্ডের সঙ্গে বড় বিবাদের জড়ানোর মাঝে, এবার আইসিসি শাস্তি দিতে চলেছে সাকিবকে। ম্যাচ গড়াপেটার প্রস্তাব গোপন করার জন্য সাকিবকে ১৮ মাস নির্বাসিত করতে পারে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। সব মিলিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে আসন্ন সিরিজে সাকিবের খেলার সম্ভাবনা বেশ কম।

সাকিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ, জুয়াড়িদের কাছে ম্যাচ গড়াপেটে প্রস্তাব পেয়ে তিনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু সেই কথাটা আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটকে (আইসিসি) বিষয়টা জানাননি। যা আইসিসিস-র নিয়ম অনুযায়ী বড় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। বিষয়টি নিয়ে আইসিসি তদন্ত শেষ দিকে আছে বলে জানা গিয়েছে।