ওয়াশিংটন ডিসি, ১৭ জুলাই: ফের উটকো মন্তব্য করে বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগে ফাঁসলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (US President Donald Trump)। এই টুইটের কারণে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের জোর সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। এহেন মন্তব্য করে ট্রাম্প যে বর্ণবিদ্বেষের প্রসঙ্গকে ফের সামনে নিলে এলেন তা বেশ স্পষ্ট। এবার আসি টুইটের কথায়, এক টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, ‘আমাদের দেশ স্বাধীন, সুন্দর এবং খুবই সফল। কেউ যদি এ দেশকে অপছন্দ করে, এখানে সুখী না হয়, তা হলে সে দেশ ছাড়তেই পারে।” আরও পড়ুন-হৃদয়ের বিশেষ জায়গায় থাকে কিডনি, কী বলতে কী বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প?
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার। আমেরিকার কংগ্রেসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সমালোচনা করেছিলেন ডেমোক্র্যাট পার্টির চার কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা জনপ্রতিনিধি। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁদের উপদেশ দিয়ে বসেন, তোমরা যে দেশ থেকে এসেছো, সেখানেই ফিরে যাও। ট্রাম্প ওই কথা টুইট করার পরেই তাঁর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হন ডেমোক্র্যাটরা। এমনকী চার কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা যাঁর বিরুদ্ধে সমালোচনা করেছিলেন, সেই পেলোসিও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, প্রেসিডেন্ট বর্ণবিদ্বেষী। তিনি যে ‘নতুন আমেরিকা’ গড়তে চান, সেখানে শ্বেতাঙ্গ বাদে আর কারও জায়গা নেই।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আসলে উদারপন্থী ডেমোক্র্যাটদের সমালোচনা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেটা করতে গিয়েই বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করে ফাঁপরে পড়লেন তিনি। এদিনের টুইট সেই ফাঁপরকে আরও জটিল করে তুলল। রবিবার তাঁর মন্তব্যের পরেই একজোট হয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে তুলোধোনা শুরু করেছিলেন ডেমোক্র্যাটরা। রিপাবলিকান পার্টির অনেক সমর্থকও ট্রাম্পের মত সমর্থন করেননি। কিন্তু ক্ষমা চাইতে নারাজ ট্রাম্প। উলটে সোমবার ফের টুইটারে মন্তব্য করেন, “বিপ্লবী, বামপন্থী ডেমোক্র্যাট কংগ্রেস সদস্যদের আমাদের দেশের কাছে, ইজরায়েলের কাছে এমনকী, প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। ওঁরা বাজে ভাষা ব্যবহার করেছেন। বহু মানুষ ওঁদের অভব্য ও ভয়ংকর আচরণে ক্রুদ্ধ।”