স্পেন, ২৬ ডিসেম্বর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন, শিক্ষাকে বাহন করতে বহন নয়। কিন্তু ক্লাসরুমে যদি শিক্ষার বাহনের ধারা চলমান না থাকে তাহলে সামনে বসা পড়ুয়ার মাথায় তা বোঝার মতোই চেপে বসে। প্রথাগত শিক্ষার ন্যূনতম মাপকাঠি পেরোলেই অনেকেই আর বইয়ের ধারেকাছে যেতে চায় না। দিন কয়েক আগেই প্রয়াত হয়েছেন হিন্দু স্কুলের বাংলার শিক্ষক অপূর্ববাবু। তাঁর ছাত্ররা আজ সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। প্রিয় শিক্ষকের অকাল মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন করতে গিয়ে সকলেই বলেছেন বাংলা ভাষা, বাংলা সাহিত্যে যে কি তা অপুদা শিখিয়েছিলেন। কোনওদিন উঁচু গলায় কথাও বলেননি, তাঁর পড়ানোর সময় কেউ হট্টগোলও করত না। শিক্ষক ছিলেন বন্ধুর মতো। সেই সহজ করে বোঝানোই তাঁর মূলমন্ত্র। এমনই এক শিক্ষিকার সন্ধান মিলল স্পেনে।
ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে আরও মজা করে শিখতে পারে তার জন্য এক অভিনব উপায় বের করলেন স্পেনের এক স্কুলের শিক্ষিকা (Spanish school teacher) ভেরোনিকা ডকিউ (Veronica Duque)। ১৫ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন তিনি। বর্তমানে প্রাইমারি স্কুলের বাচ্চাদের বিজ্ঞান, ইংরেজি, সমাজবিজ্ঞান, স্প্যানিশ-এর মতো বিষয় পড়ান তিনি। ৪৩ বছরের এই শিক্ষিকা বায়োলজির ক্লাসে অ্যানাটমি পোশাক পরে যান। এই পোশাকের উপর মানবদেহের ভিতরের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ছবি আঁকা ছিল। সেই ছবি দেখিয়েই পড়ান তিনি। এই পড়ানোর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই ভেরোনিকার প্রশাংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা। তিনি সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকাদের কাছে দৃষ্টান্ত স্বরূপ তা নিয়ে কোনওরকম সন্দেহ নেই। আরও পড়ুন-Meghalaya Governor Tathagata Roy: রাজস্থানের পুরনো ভিডিও ক্লিপিংস টুইটারে শেয়ার করে সাম্প্রদায়িক গোলমালে উসকানি, ফের ট্রোলড মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায়
Muy orgulloso de este volcán de ideas que tengo la suerte de tener como mujer😊😊
Hoy ha explicado el cuerpo humano a sus alumnos de una manera muy original👍🏻
Y los niños flipando🤣🤣
Grande Verónica!!!👏🏻👏🏻😍😍 pic.twitter.com/hAwqyuujzs
— Michael (@mikemoratinos) December 16, 2019
সেদিন ক্লাসে ভেরোনিকার সঙ্গে তাঁর স্বামীও গিয়েছিলেন। স্ত্রীর পড়ানোর বেশ কিছু ছবি তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেন। ক্যাপশনে লেখেন, “আমার স্ত্রী ভেরোনিকাকে নিয়ে আমি গর্বিত। অ্যানাটমি পোশাক পরে মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পড়িয়েছে ও। ছাত্র-ছাত্রীরা খুব মজা করে সব কিছু শুনেছে। এইরকম একটা ক্লাসে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি খুব খুশি।” এই পোস্টই ভেরোনিকাকে গোটা বিশ্বের টেকস্যাভিদের মধ্যে জনপ্রিয় করে তোলে।ভেরোনিকার স্বামী জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী ইন্টারনেট ঘেঁটে পড়ানোকে আরও সহজ করে তোলার বিভিন্ন পথ খোঁজেন। এভাবেই তাঁর মাথায় এই আইডিয়া আসে। তারপরেই এই ধরনের পোশাক তৈরি করান তিনি।