মানসিক অসুস্থকে বেধড়ক মারধর রাজস্থানে(Photo Credits: Screengrab/ Twitter)

মেঘালয়, ২৩ ডিসেম্বর: রাজস্থানের একটি ভিডিও ক্লিপিংসকে দিল্লির ঘটনা বলে টুইটারে চালানোর চেষ্টা করে ফের নেটিজেনদের ক্ষোভের মুখে মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথা বিজেপি নেতা তথাগত রায় (Meghalaya Governor Tathagata Roy)। তিনি বলেন, দেখুন একজন বৃদ্ধ ভারত মাতার নামে স্লোগান দেওয়ায় তাঁকে সবাই মিলে আক্রমণ করেছে। দিল্লির জাফরাবাদে যখন এত বড় একটা ঘটনা ঘটছে তখন প্রকৃত ভারতীয়রা কী করে চুপ করে আছেন? মিডিয়াই বা কেন সরব নয়? এমনিতেই রাজ্যপাল কম বিজেপি নেতা বেশি এই প্রবীণ রাজনীতিকের আচরণ বা মন্তব্য় নিয়ে বিতর্ক হওয়াটা নতুন কিছু নয়। তবে এবারের ঘটনা সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেল। বরং ধর্মীয় হিংসায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তথাগত রায়ের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, মেঘালয়ের রাজ্যপাল পরিকল্পনা করে মুসলিমদের সাম্প্রদায়িক ঘটনার শিকার বানাতে চাইছেন।

নেটিজেনদের মধ্যে দুটি গ্রুপ হয়ে গিয়েছে এই ভাইরাল ক্লিপিংসকে কেন্দ্র করে। বেশিরভাগেরই দাবি, সংসদীয় গণতন্ত্রেএমন একটি সাংবিধানিক পদে থেকে কী করে মেঘালয়ের রাজ্যপাল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বিপন্ন করার কাজ করেন। তাঁর এই পদে থাকার অধিকার নেই। তিনি যেনতেন প্রকারেণ দেশের মুসলমানদের বদনাম করার চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ বলেছেন, এই ঘটনার সঙ্গে যার জড়িত তাদের মধ্যে হিন্দু মুসলিম দুই রয়েছেন। আক্রান্ত বৃদ্ধ ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে বলছিলেন, বিজেপি চোর, তারপর ‘ভারত মাতা কি জয়’ বলে স্লোগান দেন। অন্যদিকে গন্ডগোলের কারণ জিনিস কেনাবেচা নিয়ে। এরমধ্যে কোনও সাম্প্রদায়িক গোলমাল নেই। যারা বৃদ্ধকে মারধর করেছে তাদের মধ্যে হিন্দু ধর্মাবলম্বীও রয়েছে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম ভগবান দাস, মজুর শেখ, মনোজ হেমন্ত নাহানি ও ইরফান। কোনও সাম্প্রদায়িক কারণে এই মারধরের ঘটনা ঘটেনি। আর ঘটনাটি মোটেই দিল্লির জাফরাবাদের নয়। রাজস্থানের ভিলওয়াড়া এলাকার। আরও পড়ুন-Mumbai: ডাস্টবিনে চায়ের কাপ ধুচ্ছেন দোকানি, থানে রেল স্টেশনের ভিডিও ভাইরাল

এই মারধরের ঘটনা ঘটেছে গত সেপ্টেম্বরের। কী করে দুমাস আগের ঘটনাকে মেঘালয়ের রাজ্যপাল দিল্লির বর্মান ঘটনা বলে চালাতে চাইলেন তা নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। বিজেপির আইটি সেলের কর্মীরা যেভাবে মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে তথাগত রায় যে তাদের মতোই কাজ করছেন তানিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তিনি সাধারণ গোলমালের ঘটনায় সাম্প্রদায়িক রং চড়িয়ে দেশের মানুষকে মুসলিম বিদ্বেষী করে রাগিয়ে তোলার চেষ্টা করছেন। এমন অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।