জম্মু ও কাশ্মীর: বর্ষার জলে টইটম্বুর উপত্যকার নদী ঝিলম। সেই ঝিলমেই বেসে যাচ্ছিল এক স্থানীয় কিশোরী। জীবনের তোয়াক্কা নাকরে মৃতপ্রায় কিশোরীকে বাঁচালেন দুই সিআরপিএফ জওয়ান। খরস্রোতা ঝিলমে ঝাঁপ দিতে এক মুহূর্ত ভাবার সময় নেননি জি নায়ডু ও নাল্লা উপেন্দ্র নামের দুই সিআরপিএফ জওয়ান। উদ্ধার হওয়া কিশোরীর নাম নাগিনা (১৪)। যখন দুই জওয়ান কিশোরীর উদ্ধার করতে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন তখন তাঁদের সাহায্য করতে ঝিলমের তীরেইমানব শৃঙ্খল গড়েছেন আরও চার জওয়ান। এই উদ্ধারের ভিডিও ভাইরাল হতেই দুই জওয়ানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা। আরও পড়ুন- বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের ১৪০ দিন পর ভারতের জন্য আকাশপথ খুলল পাকিস্তান, ৫০০ কোটির ক্ষতির পর স্বস্তি এয়ার ইন্ডিয়া-র
সিআরপিএফ সূত্রের খবর, সোমবার বারামুলায় ঝিলমের তীরে রুটিন টহলদারিতে বেরিয়েছিলেন ১৭৬ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা। হঠাৎ দেখলেন তীব্র স্রোতে ভেসে যাচ্ছে এক কিশোরী। তাকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়লেন জওয়ানেরা। এই ঘটনায় জওয়ানদের সাহসের প্রশংসা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। তাকে বাঁচাতে জলে ঝাঁপ দেন এম জি নায়ডু ও নাল্লা উপেন্দ্র নামে দুই জওয়ান। তাঁদের সাহায্য করতে তীরে মানবশৃঙ্খল তৈরি করে দাঁড়ান চার জওয়ান। শেষ পর্যন্ত ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেন তাঁরা।
স্থানীয়েরা জানান, জওয়ানেরা উদ্যোগী না হলে ওই কিশোরীকে বাঁচানো কঠিন হত। যে দুই জওয়ান জলে ঝাঁপ দিয়েছিলেন তাঁদের সাহসিকতার জন্য পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন সিআরপিএফের ডিজি আর আর ভটনাগর। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও কাশ্মীরের স্থানীয় বাসিন্দাদের রক্ষা করতে জওয়ানদের উদ্যোগী হতে দেখা গিয়েছে। এপ্রিলে শ্রীনগরের গুলশন এলাকার বাসিন্দা এক তরুণী সন্তান প্রসবের সময়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর রক্তের প্রয়োজন ছিল। কাশ্মীরে মেডিক্যাল সাহায্যের জন্যও খোলা থাকে সিআরপিএফের হেল্পলাইন ‘মদতগার’। রক্ত না পেয়ে শেষমেশ সেই হেল্পলাইনে যোগাযোগ করেন ওই তরুণীর পরিবারের সদস্যেরা। শেষ পর্যন্ত রক্ত দিয়ে ওই তরুণীকে সাহায্য করেন ৫৩ নম্বর ব্যাটেলিয়নের এক জওয়ান, গোহিল শৈলেশ। সম্প্রতি দক্ষিণ কাশ্মীরের উলার হ্রদে নৌকো চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়েছিলেন এক মহিলা ও তাঁর মেয়ে। তখন নৌসেনার কমান্ডোরা তাঁদের প্রাণরক্ষা করেন।