শান্তিপূর্ণভাবে চলছে অমরনাথ যাত্রা। শুক্রবার জম্মু থেকে কাশ্মীর উপত্যকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে ১২২১ তীর্থযাত্রীর আরেকটি দল। শ্রী অমরনাথজি সাইন বোর্ডের (এসএএসবি) আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ৪.৮০ লক্ষেরও বেশি তীর্থযাত্রী যুক্ত হয়েছেন অমরনাথ যাত্রায়। জম্মুর ভগবতী নগর যাত্রী নিবাস থেকে সকাল ০৩:২৮ মিনিটে দুটি নিরাপত্তা কনভয়ে উপত্যকায় রওনা হয়েছে ১২২১ জন তীর্থযাত্রীর দলটি।
৩৯৫ তীর্থযাত্রীদের বহনকারী ২১টি গাড়ির প্রথম নিরাপত্তা কনভয় উত্তর কাশ্মীরের বালতাল বেস ক্যাম্পের দিকে রওনা হয়েছে এবং দক্ষিণ কাশ্মীরের নুনওয়ান (পাহালগাম) বেস ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে ৮২৬ তীর্থযাত্রী নিয়ে ৩৩টি গাড়ির দ্বিতীয় নিরাপত্তা কনভয়। গুহা মন্দিরে একটি বরফের কাঠামো রয়েছে যা চাঁদের পর্যায়ের সঙ্গে বৃদ্ধি ও হ্রাস পায়। ভক্তদের বিশ্বাস অনুযায়ী, এই বরফের কাঠামো ভগবান শিবের পৌরাণিক শক্তির প্রতীক। কাশ্মীর হিমালয়ে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩৮৮৮ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এই গুহা মন্দিরটি। ঐতিহ্যবাহী দক্ষিণ কাশ্মীর পাহলগাম রুট বা উত্তর কাশ্মীর বালতাল রুট হয়ে গুহা মন্দিরে পৌঁছান ভক্তরা।
ঐতিহ্যবাহী পাহলগাম গুহা মন্দিরের রুট ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ হওয়ার কারণে বাবা বরফানির কাছে পৌঁছাতে সময় লাগে ৪ থেকে ৫ দিন। দ্বিতীয় পথ হল বালতাল, এটি ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ। বালতাল পথ বেছে নেওয়া ভক্তরা একইদিনে দর্শন করে বেস ক্যাম্পে ফিরে আসতে পারেন। উত্তর কাশ্মীর রুটে বালতাল এবং দক্ষিণ কাশ্মীর রুটে চন্দনওয়াড়িতে তীর্থযাত্রীদের জন্য ব্যবস্থা রয়েছে হেলিকপ্টার পরিষেবাও। ২০২৪ সালে অমরনাথ যাত্রা শুরু হয় ২৯ জুন। ৫২ দিন পর ১৯ আগস্ট শ্রাবণ পূর্ণিমা ও রক্ষাবন্ধন উৎসবের মধ্য দিয়ে শেষ হবে অমরনাথ যাত্রা।