
আজ রবিবার ইস্টার সানডে (Happy Easter Sunday 2025)। গুড ফ্রাইডের পরে যে রবিবারটি আসে সেদিন পালন করা হয় ইস্টার সানডে। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী মানুষের কাছে ইস্টার সানডে'র অপরিসীম গুরুত্ব রয়েছে। মনে করা হয়, এই দিন যিশু বেঁচে উঠেছিলেন। মৃত্যুকে জয় করে আজকের দিনেই যিশু আবারও মানুষের মাঝে ফিরে আসেন। সেই থেকে পালিত হয়ে আসছে ইস্টার সানডে (Easter Sunday)।
খ্রিস্টান ধর্মবিশ্বাস অনুসারে, ইহুদিরা ক্রুশবিদ্ধ করে যিশুকে হত্যা করেছিলেন। দিনটা ছিল 'গুড ফ্রাইডে' (Good Friday)। মৃত্যুর তিন দিন পর অর্থাৎ রবিবার বেঁচে উঠেছিলেন যিশু। যিশুর পুনরুত্থান মানবজাতির জন্য এক নতুন দিনের আগমন তথা প্রত্যুষের সূর্যোদয়।
জার্মান শব্দ 'অস্টার' থেকে ইস্টার শব্দের জন্ম। ইস্টার শব্দের অর্থ ঊষা বা প্রত্যুষ। খ্রিস্টিয় ক্যালেন্ডারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব এই ইস্টার সানডে। খ্রিস্টানরা আজকের দিনে মৃত্যুর বিরুদ্ধে যিশুখ্রিস্টের বিজয় উৎসব উদযাপন করেন। ইস্টার সানডে উপলক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী খ্রিস্টানরা নানা কর্মসূচি পালন করে থাকেন। এই দিন বিশ্বের প্রতিটি গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়। প্রার্থনার পাশাপাশি বসে ধর্মীয় আলোচনা সভা।
ইস্টার সানডে'র ইতিহাসঃ
৩০ খ্রিস্টাব্দের দিকে গুড ফ্রাইডের দিন যিশু খ্রিস্টের উপর অত্যাচার চালায় ইহুদিরা। মারধর করে তাঁকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল এদিন। মৃত্যুর ঠিক তিন দিন পর যিশুর শিষ্যরা তাঁর কবর পরিদর্শনে গিয়ে লক্ষ্য করলেন আশ্চর্যজনক এক ঘটনা। যিশুর কবরের উপর থেকে পাথরটি সরিয়ে রাখা এবং তাঁর সমাধিটি খালি। আর এইভাবেই যিশুর পুনরুত্থানকে চিহ্নিত করেছিলেন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা।