আমেদাবাদ, ৩০ জুলাই: অনেক সময় দেখা যায় বাস যাত্রীর কাছে গন্তব্যের জন্য নির্দিষ্ট ভাড়ার থেকে টাকা কম আছে। তখনই কন্ডাক্টর একটু বকাবকি করলেও সেই টাকাই নিয়ে যাত্রীকে নিস্তার দেন। বিনিময়ে কোনও টিকিট কিন্তু ওই যাত্রী পান না। আর সেই টাকা বাসের মালিকের ঘরে না গিয়ে কন্ডাক্টরের পকেটে যায়, এমন ঘটনা অহরহ ঘটে। কিন্তু কোনও কন্ডাক্টর যদি নিয়মিতভাবে বাসের টিকিটের টাকা হাতিয়ে নিজের পকেটে ভরেন, তাহলে নিশ্চই বড় অপরাধ করছেন। এমন কাজ করেই ফেঁসে গেলেন গুজরাট স্টেট রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের কন্ডাক্টর চন্দ্রকান্ত পটেল। আরও পড়ুন-আহামরি শখ! মিসাইল লঞ্চার নিয়ে প্লেনে চড়তে গিয়ে পাকড়াও যাত্রী
যাত্রীর থেকে ৯ টাকা নিয়ে তিনি নিজের পকেটেই ঢুকিয়েছিলেন। বিষয়টি পরিবহন সংস্থার কাছে ধরা পড়তেই ফেঁসে যান চন্দ্রকান্ত। সে প্রায় ১৬ বছর আগের কথা। চন্দ্রকান্তকে হাতে নাতে ধরে ফেলেন পরিবহন সংস্থার কর্মীরা, তাঁর অপরাধ প্রমাণিত হলে ঠিক হয় বেতন থেকে দুটি ইনক্রিমেন্ট কাটা যাবে। একই সঙ্গে যতদিন তিনি চাকরি করবেন বেতন একই থাকবে। পরে জিএসআরটিসি-র বিরুদ্ধে। হাইকোর্টে যান শাস্তিপ্রাপ্ত চন্দ্রকান্ত। তবে লাভ কিছু হয়নি, পরিবহণ সংস্থার পক্ষেই রায় দিয়েছিল হাইকোর্টের বিচারপতিদের ডিভিশন বেঞ্চ। ১৬ বছরে শাস্তির কোনও রদবদল হয়নি, বেতন বাড়েনি চন্দ্রকান্তর। তাঁর আইনজীবী জানিয়েছেন, এই নির্দেশ বহাল থাকলে গোটা চাকরি জীবনে চন্দ্রকান্তকে ১৫ লক্ষ টাকার খেসারত দিতে হবে। তবে জিএসআরটিসির আইনজীবীও পালটা দিয়ে জানিয়েছেন, পরিবহন সংস্থার প্রাপ্য টাকা হাতিয়ে নেওয়াটা চন্দ্রকান্ত দৈন্দিন রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সুযোগ পেলেই তিনি একাজ করতেন। শাস্তির আগে অন্তত ৩৫বার তাঁর অপাধ প্রমাণিত হয়েছে। প্রত্যেকবারেই তাঁকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে এই ভেবে যে তিনি শুধরে যাবেন। তবে কার্ষক্ষেত্রে কোনও লাভই হয়নি।
জানা যায়, গুজরাতের চিখলি থেকে আম্বাচ গ্রাম পর্যন্ত রুটের একটি বাসে কন্ডাক্টার ছিলেন চন্দ্রকান্ত পটেল। ঘটনার দিন হঠাৎই কুদভেল গ্রামের কাছে সারপ্রাইজ চেকিং হয় সেই বাসে। সেখানে দেখা যায় এক যাত্রীর কাছে টিকিট নেই। টিকিট কোথায় জানতে চাওয়ায় তিনি বলেন, বাস কন্ডাক্টরকে তিনি ৯ টাকা দিয়েছেন। কিন্তু টিকিট পাননি। গুজরাত স্টেট রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (জিএসআরটিসি)-র তদন্তে চন্দ্রকান্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।