বাল্টিমোর, ৩০ জুলাই: মিসাইল লঞ্চার (Missile Launcher), শুনলেই মনে হবে নিশ্চই যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাই দেশের সেনাবাহিনীর জন্য যুদ্ধাস্ত্রের তদারকি চলছে। কিন্তু বাস্তবে যদি দেখা যায় অন্যকিছু তাহলে তো সন্দেহ হবেই। হ্যাঁ সন্দেহ হওয়ার মতোই ঘটনা ঘটেছে মার্কিনযুক্ত রাষ্ট্রের বাল্টিমোর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। কাকভোরে একখানা মিসাইল লঞ্চার নিয়েই বিমানে চড়তে চলে এসেছেন ব্যক্তি। ব্যাগ চেকিংয়ের সময় বিষয়টি নজরে আসতেই নিরাপত্তারক্ষীদের চোখ কপালে উঠেছে। সঙ্গে সঙ্গে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে খবর দেওয়া হয়েছে। আরও পড়ুন-ইমরান খানের সদিচ্ছা, ৭২ বছর পর খুলছে পাকিস্তানের এই শিবমন্দির
কুয়েত থেকে নিয়ে এসেছেন মিসাইল লঞ্চার। ব্যাগের মধ্যে সেই জিনিসটি নিয়ে ওয়াশিংটনের বিমান বন্দরে হাজির হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। বিমানে ওঠার আগে লাগেজ চেক করতে গিয়ে নিরাপত্তাকর্মীরা দেখতে পেলেন, ব্যাগের মধ্যে রয়েছে একট আস্ত মিসাইল লঞ্চার। সেই ব্যক্তিকে আটক করে শুরু হল জেরা। তিনি জানালেন কুয়েত ভ্রমণে গিয়ে সুভ্যেনির হিসাবে নিয়ে এসেছিলেন ওই মিসাইল লঞ্চার। তাঁর বাড়ি টেক্সাসে, স্মারকটি তিনি বাড়িতেই রাখতে চান, তাই বিমান ধরতে এসেছেন। বিষয়টি জানাজানি হতেই খবর যায় ট্রান্সপোর্ট সিকিউরিটি অ্যাডমিনস্ট্রেশনে। সেখানকার মুখপাত্র লিসা ফার্বস্টেইন বলেন, সোমবার ভোরে বাল্টিমোর আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে লঞ্চারটি পাওয়া যায়। ব্যাগের মালিক জানিয়েছেন, কুয়েত থেকে স্মারক হিসাবে মিসাইল লঞ্চারটি এনেছেন। টেক্সাসের জ্যাকসনভিলের বাড়িতেই ওটি রাখবেন। ওই ব্যক্তি একজন সেনাকর্মী, তাই এরকম ঘটনা ঘটানোর খবর ছড়ালে তাঁর সমস্যা বাড়ত। সেকারণেই নাম জানানো হয়নি, বরং তাঁকে বিমানে ওঠার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ওই লঞ্চারটি গ্রিফিন মিসাইল ছোঁড়ার জন্য ব্যবহৃত হত। গ্রিফিন মিসাইলের নির্মাতা রেথিওন কোম্পানি জানিয়েছে, ওই ক্ষেপণাস্ত্র জলে, আকাশে এবং ভূমিতে ব্যবহার করা যায়। ট্রান্সপোর্ট সিকিউরিটি অ্যাডমিনস্ট্রেশনের বক্তব্য, মিলিটারি ওয়েপন নিয়ে যাত্রীবাহী বিমানে উঠতে দেওয়া যায় না। তাই লঞ্চারটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেটিকে ফায়ার মার্শালের দপ্তরে জমা করা হয়েছে। পরবর্তিতে মিসাইলটিকে ডিসপোজ করে দেওয়া হবে। তবে সৌভাগ্যের বিষয় যে মিসাইলটি অকেজো ছিল, নাহলে বড়সড় বিপদ ঘটতে পারত।