কলকাতা : যকৃতে চর্বি জমা হলে সেটিকে ফ্যাটি লিভার (Fatty Liver) বলে। সাধারণত দুই ধরনের ফ্যাটি লিভার হয়। অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার এবং নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার।
অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার যারা নিয়মিত অ্যালকোহল পান করেন তাদের হয়ে থাকে৷ আর নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার মূলত অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার খাওয়া, অতিরিক্ত চিনি,কার্বোহাইড্রেট ও অতিরিক্ত মসলাদার খাবার খাওয়ার ফলে।
লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমে গেলে তা বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। তবে জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন আনা গেলে ফ্যাটি লিভার রোধ করা সম্ভব। বর্তমানের কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকেই খাবারের কোনও নির্দিষ্ট সময় বা রুটিন মেনে চলি না, শরীরচর্চার প্রসঙ্গ এলে নানা অজুহাতে এড়িয়ে যাই।
ফ্যাটি লিভার থেকে বাঁচতে দিন শুরু করুন উষ্ণ জল ও লেবুর রস দিয়ে।লেবুতে ফ্ল্যাভোনয়েড রয়েছে যা অক্সিডেটিভ ক্ষতি কমায়। এদিকে হালকা গরম জল পান করলে তা খাবার দ্রুত ভাঙতে সাহায্য করে। এছাড়াও হালকা গরম জল কোষ্ঠকাঠিন্য এবং টক্সিন দূর করতেও সাহায্য করে।
পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করুন। জল হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে। আপনার যদি শুধু জল খেতে ভালো না লাগে তবে তরলজাতীয় স্বাস্থ্যকর পানীয়ও খেতে পারেন। যেমন বিভিন্ন ফলের রস, ডাবের পানি, ভেষজ চা ইত্যাদি।
প্রতিদিন প্রায় ১-৩ গ্রাম কাঁচা রসুন খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে ফ্যাটি লিভার থেকে রক্ষা পাওয়ার পাশাপাশি আরও অনেক উপকার পাবেন।
বেকড খাবার একেবারে এড়িয়ে চলুন। যেমন ব্রেড, বিস্কুট, কেক ইত্যাদি প্রতিদিনের খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। এ ধরনের খাবার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রার বৃদ্ধি করে, যার ফলে লিভারে চর্বি জমা হয়।