Credits: Pixabay

বিষণ্ণতার মধ্যেও হাসিমুখে থাকা হল একটি মানসিক সমস্যা। এই সমস্যা চলাকালীন দেখা যায় একজন ব্যক্তি বিষণ্ণতায় ভুগছেন কিন্তু বাহ্যিকভাবে এর লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে না। এই ব্যক্তি তার যন্ত্রণা এবং চাপ লুকিয়ে রাখতে পারদর্শী এবং সমাজে স্বাভাবিক দেখানোর জন্য আনন্দ প্রকাশ করছেন, কিন্তু ভিতরে ভিতরে সে গভীর বিষণ্ণতা বা মানসিক সমস্যায় ভুগছে। এই অবস্থা খুবই বিপজ্জনক হতে পারে কারণ ব্যক্তির আশেপাশের লোকেরা এটি বুঝতে অক্ষম এবং চিকিৎসার অভাবে এই ব্যক্তির অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক হাসিমুখে বিষণ্ণতার লক্ষণগুলো সম্বন্ধে বিস্তারিত।

এই সমস্যার কারণে বারবার মেজাজ পরিবর্তন হতে পারে। এই সমস্যা চলাকালীন ব্যক্তিটি বাইরে থেকে স্বাভাবিক দেখাতে পারে, কিন্তু ভিতর থেকে সে ক্লান্ত বোধ করতে পারে এবং শক্তির অভাব বোধ করতে পারে, যার কারণে তার দৈনন্দিন কাজ করতে অসুবিধা হয়। এছাড়া এই ধরনের ব্যক্তি তার সুখী জীবনের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন, কিন্তু বাস্তবে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন এবং বাস্তব জীবনে একাকী বোধ করেন। ব্যক্তি নিজের সমালোচনা করে, অন্যদের সামনে নিজের স্বাভাবিক বিষয়গুলো তুলে ধরে। বিষণ্ণতায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিরা প্রায়শই ঘুমের সমস্যার সম্মুখীন হন (যেমন অনিদ্রা বা অতিরিক্ত ঘুম), যা মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

বিষণ্ণতার সমস্যা দূর করা সম্ভব। এর জন্য কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি, চলুন এবিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। হাসি হতাশা প্রতিরোধের একটি সহজ উপায়, তাই এই সমস্যা এড়িয়ে চলার জন্য খোলামেলা কথা বলা দরকার। কোনও মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হলে অনুভূতিগুলি বিশ্বস্ত ব্যক্তি, বন্ধু বা পরিবারের সদস্যের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারে। নিজেকে একা বোধ করতে দেওয়া যাবে না। কথা বলে সমস্যার সমাধান না হলে থেরাপি, কাউন্সেলিং বা টক থেরাপির আশ্রয় নিতে হবে। একই সঙ্গে প্রতিদিনের ব্যায়াম, সুষম খাদ্য এবং ভালো ঘুমও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করতে পারে।