প্রতীকী ছবি( Photo Credit: Pixabay)

উফ, এমনিতেই গরমে অতিষ্ঠ প্রাণ, তারমধ্যে ঘেমেনেয়ে একসা হয়ে বার বার মনে হচ্ছে বালতি বালতি জল মাথায় ঢাললেই ধরিত্রী শান্ত হবে, গরমের জ্বালা জুড়িয়ে যাবে। এদিকে বারে বারে স্নান করে ইতিমধ্যেই গলাটা ধরে এসেছে, সকাল থেকে আবার মাথাটা টিপ টিপ করছে। ওহ হো বলতে ভুলেই গিয়েছি, সাইনাস আছে আমার। আর কি এবার মাথার যন্ত্রণা নিয়ে চুল ছিঁড়ে ফেলুন। নাহ এতটাও উত্তেজিত হয়ে কাজ নেই. সমাধান খুঁজতে হবে। ঘরেই যদি টোটকা দিয়ে সাইনাসকে (Sinusitis Treatments) বশে আনা যায় তবে ক্ষতি কি। আরও পড়ুন- সর্দি জ্বরে অ্যান্টিবায়োটিক, একটা ভুলেই মৃত্যুফাঁদ তৈরি করছেন জানেন তো

সাইনাসের সঙ্গে লড়াইয়ের প্রধান হাতিয়ার গরম তরল খাবার। এতে নাসারন্ধ্রে জমে থাকা মিউকাস অনেক তরল হয়ে যায়। নাক দিয়ে জল টানার থেকে চেয়ে ভাল টোটকা সাইনাসের ক্ষেত্রে আর কিছু নেই। তবে এটা একদিনে অভ্যাস করা মুশকিল। সামান্য উষ্ণ গরম জল হাতে নিয়ে এক নাক দিয়ে টেনে, অন্য নাক দিয়ে বার করে দিতে হয়। এই পদ্ধতিতে শ্বাসনালী পুরো পরিষ্কার হয়ে যায়। খুব তাড়াতাড়ি সাইনাসের রোগী আরাম পান। এক চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার,  হাফ চামচ হলুদ, সামান্য আদা কুচি, পাতিলেবু, সামান্য গোলমরিচ, তিন চার কোয়া রসুন জলে ফেলে দিন। জল ফুটে গেলে সেই মিশ্রণ আসতে আসতে চুমুক দিয়ে খান। এতে মধুও দিতে পারেন। সাইনাসের সঙ্গে লড়তে এই দাওয়াই বেশ কাজের। ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক দুই ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল আঙুলে নিয়ে নাকের গোড়ায় লাগিয়ে নিন। ঘুমের সময়টুকু আরাম পাবেন।ঘুমনোর সময় এসি চালানোর অভ্যেস থাকলে তা ত্যাগ করুন। প্রয়োজনে ঘুমের ঘণ্টা খানেক বা ঘণ্টা দেড়েক আগে এসি চালিয়ে নিয়ে ঘর ঠাণ্ডা করে তারপর ফ্যান চালিয়ে শুতে যান।

সারাদিন প্রচুর পরিমাণ জল খান। এতে অ্যাসিডিটি এড়ানো যাবে। অ্যাসিডিটি যত কমবে ততই কমবে মিউকাস। ক্রনিক সাইনাস থাকলে দুগ্ধজাতীয় খাবার,  ময়দা,  ভাজাভুজি এড়িয়ে চলতে হবে। খাবারে পিঁয়াজ,  রসুন,  আদার ব্যবহার বাড়ান। সাইনাসের দারুণ ঘরোয়া দাওয়াই এই সব্জিগুলো। মাথা যন্ত্রণা হলে গরম জলে নরম সুতির কাপড় ভিজিয়ে বার বার মাথায় দিন। তারপর বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে স্থায়ী সুস্থতার ব্যবস্থা করতে পারেন।