সুস্বাস্থ্যের জন্য নিয়মিত পুষ্টির প্রয়োজন হয় শরীরের। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সমস্ত মানুষকে তাদের খাদ্যতালিকায় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। প্রোটিন স্বাস্থ্যের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি পুষ্টি উপাদান। এটি পেশী গঠনে, ত্বক, চুল এবং নখকে সুস্থ ও শক্তিশালী রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শরীরের সামগ্রিক কার্যকারিতার জন্য প্রোটিন অপরিহার্য। এটি টিস্যু নির্মাণ এবং মেরামত, এনজাইম ও হরমোন উৎপাদন এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চুল ও নখ মজবুত রাখতে এবং ভেঙ্গে যাওয়া রোধ করতে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার প্রয়োজনীয়। তথ্য অনুযায়ী, প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন প্রতি কেজি ওজনের জন্য ০.৮ গ্রাম প্রোটিন প্রয়োজন। উদাহরণস্বরূপ, ৭৫ কেজি ওজনের একজন ব্যক্তির প্রতিদিন ৬০ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করা উচিত।
প্রোটিনের ঘাটতি হলে শরীরের গঠন পরিবর্তন হতে থাকে। প্রোটিনের ঘাটতি থাকলে লিভারের রোগ, হাড়ের সমস্যা এবং শিশুদের বিকাশে প্রভাব পড়ে। ভিটামিন সি এবং ডি সাধারণত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী রাখতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। কিন্তু প্রোটিনের ঘাটতি থাকলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও প্রভাবিত হয়। প্রোটিনের অভাবের কারণে, সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় এবং এটি গুরুতর রূপও নিতে পারে। মহিলাদের উপর হওয়া একটি ছোট গবেষণা থেকে জানা গেছে যে ৯ সপ্তাহ ধরে কম প্রোটিনযুক্ত খাবার খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়।
পেশী সুস্থ ও শক্তিশালী রাখার জন্যও প্রোটিন অপরিহার্য। পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ না করলে শরীর তার প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে পেশী টিস্যু ভেঙে ফেলতে শুরু করে। এছাড়া দৈনন্দিন জীবনে জিনিস তুলতে বা সিঁড়ি বেয়ে উঠতে অসুবিধা হলে বা শক্তির অভাব বোধ হলে এটি প্রোটিনের ঘাটতির কারণ হতে পারে। চুল, ত্বক এবং নখ প্রধানত প্রোটিন দিয়ে তৈরি। প্রতিদিনের ডায়েটে পর্যাপ্ত প্রোটিন না থাকলে, চুল পড়া এবং ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি দেখা দিতে শুরু করে। প্রোটিনের অভাবে নখ ভঙ্গুর হয়ে যাওয়ার এবং ত্বক শুষ্ক ও ফ্ল্যাকি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এককথায় প্রোটিনের অভাবে চুল, ত্বক ও নখের সমস্যা হতে পারে।