ক্রমাগত ক্রমবর্ধমান দূষণ, মানসিক চাপ এবং বিকৃত জীবনযাত্রার কারণে খুব ক্লান্ত হয়ে যায় ত্বক। অনেকেই ত্বকের যত্নের জন্য চিকিৎসা করায়, অনেকে ফেসিয়াল করিয়ে থাকে, আবার অনেকে ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে। তবে যারা ঘরোয়া প্রতিকারে বিশ্বাসী তারা জেনে নিন নতুন বছরে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কাঁচা দুধ ব্যবহার করার পদ্ধতি। কাঁচা দুধে এমন অনেক উপাদান রয়েছে, যা ত্বক সংক্রান্ত অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। এমন পরিস্থিতিতে দুধ ব্যবহার করার সঠিক উপায় জানা খুবই জরুরি। ক্লিনজার, স্ক্রাব, মাস্ক এবং টোনার বিভিন্ন উপায়ে কাঁচা দুধ ব্যবহার করে মুখের উজ্জ্বলতা বজায় রাখা সম্ভব।
ক্লিনজার হিসেবে কাঁচা দুধ ব্যবহার করার জন্য প্রথমে একটি তুলোর বলের সাহায্যে মুখে কাঁচা দুধ লাগিয়ে নিয়ে ১০-১৫ মিনিটের জন্য রেখে হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে ত্বক ভেতর থেকে পরিষ্কার হয়ে যাবে। স্ক্রাব হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে কাঁচা দুধ। এর জন্য ২ চামচ কাঁচা দুধে ১ চিমটি হলুদ এবং ১ চামচ চালের গুঁড়ো মিশিয়ে মুখে ভালো করে ঘষে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই স্ক্রাব সপ্তাহে দুবার ব্যবহার করলে দূর হয়ে যাবে ত্বকের মৃত কোষ।
কাঁচা দুধ দিয়ে তৈরি করা যাবে মাস্ক। এর জন্য ২ চা চামচ দুধে ১ চা চামচ মধু ও সামান্য বেসন মিশিয়ে মুখে ও ঘাড়ে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মাস্ক ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। মুখের ত্বক টানটান করতে টোনার হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে কাঁচা দুধ। টোনার তৈরি করার জন্য প্রথমে কাঁচা দুধ ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে নিতে হবে। এরপর তুলোর সাহায্যে মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। এছাড়া ডার্ক সার্কেল কমাতেও কাঁচা দুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। এর জন্য ঠান্ডা দুধে তুলার প্যাড ভিজিয়ে চোখের ওপর ১০-১৫ মিনিটের জন্য রেখে দিতে হবে। এটি ডার্ক সার্কেল এবং ক্লান্তি কমাতে সহায়ক।