Credit: AI

শীতের মরসুম শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিবর্তন করা হয় খাদ্যাভাসে। শীতের মরসুমে কিছু ফল স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। শীতকালে, বিশেষ করে ঠান্ডা এবং শ্লেষ্মা উৎপাদনকারী ফলগুলি এড়িয়ে চলা উচিত, যাতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অটুট থাকে এবং শরীরে গরম অনুভব হয়। শীতকালে স্বাস্থ্যের জন্য সঠিক ফল নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক ফল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখার পাশাপাশি শরীরকে উষ্ণতাও দেয়। শীতের মরসুমে আপেল, ডালিম ও বেরি জাতীয় উষ্ণ ফল বেশি উপকারী হতে পারে। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক শীতে কোন কোন ফল খাওয়া উচিত নয় এবং কেন...

তরমুজ

গ্রীষ্মের মরসুমে তরমুজ খাওয়া উপকারী, তবে শীতের মরসুমে তরমুজ খেলে কমে যেতে পারে শরীরের তাপমাত্রা। শীতের মরসুমে তরমুজ খাওয়ার কারণে ঠান্ডা বা শ্বাসকষ্টের ঝুঁকি বাড়তে পারে।

কলা

কলা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী একটি ফল, তবে শীতের মরসুমে কলা শ্লেষ্মা উৎপাদন বাড়াতে পারে, যা সর্দি-কাশি এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়াতে পারে।

আনারস

আনারসে ব্রোমেলেন পাওয়া যায়, যা শ্লেষ্মা পাতলা করতে সাহায্য করে, তবে এর শীতল বৈশিষ্ট্য এবং অ্যাসিডিক প্রকৃতির কারণে শীতের মরসুমে গলায় জ্বালা তৈরি করতে পারে।

পেঁপে

পেঁপে একটি পুষ্টিকর ফল, তবে এটি একটি শীতল ফল হিসেবে বিবেচিত হয়। শীতকালে পেঁপে খেলে শরীরের তাপমাত্রা কমতে পারে, যা ঠান্ডার লক্ষণ বাড়িয়ে দিতে পারে।

পেয়ারা

পেয়ারা ফাইবার সমৃদ্ধ, তবে এটির কিছুটা রুক্ষ বৈশিষ্ট্য এবং শীতল প্রকৃতির কারণে এটি শীতে গলা ব্যথার কারণ হতে পারে।

আঙ্গুর

আঙ্গুর তাজা না হলে, শীতকালে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ বাড়াতে পারে। আঙ্গুরে চিনির আধিক্য শ্লেষ্মা উৎপাদন বাড়াতে পারে। তাই আঙ্গুর খেলে শুধুমাত্র তাজা এবং উচ্চ মানের আঙ্গুর খাওয়া উচিত।