খাঁটি দেশি ঘি প্রায় সকলের বাড়িতেই ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। ভগবানকে নিবেদন করা হোক বা খাওয়ার জন্য বা খাবার তৈরি করা সব কিছুতেই দেশি ঘি ব্যবহার করা হয়। আয়ুর্বেদ অনুসারে, প্রতিদিন দেশি ঘি খেলে স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। শীতের মরসুমে দেশি ঘি খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। শীতের মরসুমে দেশি ঘি খেলে শরীর গরম থাকে, পাচনতন্ত্র ও ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী হয়, পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হয় এবং ত্বক ও চুল ভালো থাকে।
দেশি ঘিতে পাওয়া ফ্যাট হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। শীতের মরসুমে ঘি শরীরের বিভিন্ন অংশে পৌঁছে সেই অংশে পুষ্টি জোগায়। অনেক গবেষণা অনুযায়ী, শীত হোক বা গ্রীষ্ম, দেশি ঘি যেকোনও মরসুমে খাওয়া ভালো। এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে অনেক রোগ থেকে রক্ষা করে।
ঘি পুষ্টিগুণে ভরপুর হলেও অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। এমন অনেক মানুষ রয়েছে যাদের একদমই ঘি খাওয়া উচিত নয়। কোলেস্টেরল বেশি হলে বা ট্রাইগ্লিসারাইডের রোগীদের ঘি এড়িয়ে চলা উচিত। স্থূলতা এবং বর্ধিত ওজনের সমস্যা থাকলে ঘি খাওয়া উচিত নয়। উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের, লিভার সম্পর্কিত সমস্যা, বদহজম, গ্যাস বা পেটের সমস্যা থাকলে ঘি এড়িয়ে চলা উচিত। এছাড়া প্রতিদিন ব্যায়াম বা যোগব্যায়াম করলে অতিরিক্ত ঘি খাওয়া উচিত নয়।