আমাদের দেশের প্রাচীনতম মসলাগুলির মধ্যে একটি হল হলুদ। হলুদকে একটি ওষুধও বলা হয়, যা বহু শতাব্দী ধরে প্রচলিত চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে চলেছে। হলুদের অনেক উপকারিতা রয়েছে। হলুদে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা আমাদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। হলুদে উপস্থিত সমস্ত পুষ্টির সদ্ব্যবহার পেতে, দৈনন্দিন জীবনে হলুদ ব্যবহার করা উচিত। আমরা প্রতিদিনই সবজিতে হলুদ খেয়ে থাকি। তবে আজ জানব আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আর কোন কোন উপায়ে হলুদকে অন্তর্ভুক্ত করা যায়।

১. হলুদ খাবারে সামান্য কালো মরিচ মিশিয়ে দিলে কারকিউমিনের শোষণ বৃদ্ধি পায়। কালো মরিচে উপস্থিত পিপারিন কারকিউমিনের বিপাককে ধীর করে দেয়, এর ফলে শরীর এটি আরও ভালভাবে শোষণ করতে পারে।

২. বিশেষজ্ঞদের মতে, দুধের মধ্যে হলুদ মিশিয়ে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। হলুদের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য জয়েন্টের ব্যথা কমাতে এবং ভালোভাবে ঘুমতে সাহায্য করে।

৩. সবচেয়ে সহজ উপায় হল প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় হলুদ অন্তর্ভুক্ত করা। নারকেল বা জলপাইয়ের মতো উদ্ভিজ্জ তেলে হলুদ মিশিয়ে খাবার রান্না করা ভালো।

৪. ডিম এবং মাছের মতো চর্বিজাতীয় খাবারের সঙ্গে হলুদে পাওয়া সমস্ত পুষ্টির সুবিধা নিতে পারেন। এতে উপস্থিত লেসিথিন শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

৫. লিকার চায়ে হলুদের মূল বা গুঁড়া মিশিয়ে দিলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ চা উপভোগ করা সম্ভব। স্বাদের জন্য লেবু এবং মধু মিশিয়ে দেওয়া যেতে পারে।