নতুন বছরে নতুন কিছু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তবে নতুন কিছু করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল সুস্বাস্থ্য। নববর্ষ শুরু হওয়ার সঙ্গে স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার সংকল্প নেওয়া উচিত। যদিও এটি সহজ কাজ নাও হতে পারে, প্রতিদিন ছোট ছোট পদক্ষেপ নিলে বছরের শেষে বড় ফল পাওয়া যাবে। স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার জন্য অনেক ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে এবং তার মধ্যে একটি হল আয়ুর্বেদের সাহায্য নেওয়া। আয়ুর্বেদ স্বাস্থ্য ও মঙ্গলের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়। আয়ুর্বেদে বর্ণিত অনেক পদ্ধতি রয়েছে যার দ্বারা রোগ এবং স্বাস্থ্যের চিকিৎসা করা যেতে পারে।চলুন জেনে নেওয়া যাক নতুন বছরে নিজেকে সুস্থ রাখতে জীবনধারায় কী কী পরিবর্তন করতে হবে।

ওজন কমানো থেকে শুরু করে প্রদাহ কমাতে আয়ুর্বেদিক প্রতিকার অত্যন্ত উপকারী। ওজন বৃদ্ধি রোধ করতে ধূমপান ত্যাগ করা, সময়মতো এবং ৮ ঘন্টা ঘুমানো, চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা, নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং ব্যায়াম করা উচিত। প্রতিদিন শারীরিক ক্রিয়াকলাপ করা গুরুত্বপূর্ণ। এতে শরীর ও মন সক্রিয় হয়, ঘুমের উন্নতি হয়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং মানসিক চাপও কমে। হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে, প্রতিদিন ক্বাথ পান করা যেতে পারে। ১ চামচ অর্জুনের ছাল, ২ গ্রাম দারুচিনি এবং ৫টি তুলসী পাতা নিয়ে সব এক সঙ্গে সিদ্ধ করে নিয়মিত পান করলে সুস্থ থাকবে হার্ট। তবে উচ্চ রক্তচাপ থাকলে সিট-আপ এবং হেডস্ট্যান্ড করা উচিত নয় কারণ এটা মারাত্মক হতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ রক্তে শর্করা এবং উচ্চ কোলেস্টেরলের কারণে লিভারের ক্ষতি হতে পারে। যকৃতের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ করা, ওজন হ্রাস করা, কোলেস্টেরলের মাত্রা কম করা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখা জরুরি। ফুসফুসের স্বাস্থ্য উন্নত করার অনেক উপায় রয়েছে আয়ুর্বেদে। প্রতিদিন প্রাণায়াম করার পাশাপাশি দুধে হলুদ এবং শিলাজিৎ পান করা, গরম জল পান করা এবং ভাজা খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। কিডনির স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করা, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, ধূমপান এড়িয়ে চলা, প্রচুর জল পান করা, জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলা এবং ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।