ভ্যাকসিনের প্রতীকি ছবি (Photo Credits: Oxford Twitter)

বেজিং, ১৫ সেপ্টেম্বর: নভেম্বরের মধ্যেই দেশে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন (COVID-19 Vaccine) নিয়ে আসছে চিন। ইতিমধ্যেই এই তিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি সিনোভ্যাক, সিনোফার্ম ও ক্যানসিনো বায়োটেকের টিকার প্রদর্শনীও হয়ে গেছে বেজিংয়ের বাণিজ্য মেলায়। চিনের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) জানিয়েছে, তিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিরই টিকা চলে আসতে পারে নভেম্বরে। কারণ তিন সংস্থাই তাদের তৈরি টিকার তৃতীয় স্তরের ট্রায়ালে রয়েছে। তার উপর সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে ইতিমধ্যেই জরুরি ভিত্তিতে টিকার ইঞ্জেকশন দিতে শুরু করেছে চিনের প্রথম সারির ভ্যাকসিন নির্মাতা সংস্থা সিনোফার্ম। সিনোভ্যাক ও ক্যানসিনো বায়োটেকও টিকা নিয়ে আসার ছাড়পত্র পেয়ে গেছে। নভেম্বরের গোড়াতেই করোনার টিকা নিয়ে আসার ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আরও পড়ুন-Ayodhya Temple Trust: খোয়া যাওয়া ৬ লাখ টাকা ফেরত পেল অযোধ্যার রাম মন্দির ট্রাস্ট

মার্কিন মুলুকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন আনতে তৎপর ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। সেকারণেই মোডার্না ও ফাইজারের মতো ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তিন রকমের টিকা তৈরি রেখেছে চিনও। এই প্রসঙ্গে সিডিসি-র চিফ বায়োসেফটি এক্সপার্ট গুইঝেন উ বলেছেন, তিন টিকারই ক্লিনিকাল ও সেফটি ট্রায়ালের রিপোর্ট ভাল। এখনও অবধি টিকার প্রয়োগে কোনও অ্যাডভার্স সাইড এফেক্টস দেখা যায়নি বলেই দাবি। তাই নভেম্বরের মধ্যেই টিকার ডোজ নিয়ে আসা যাবে বলেই জানিয়েছেন তিনি। সিনোভ্যাকের কোভিড ভ্যাকসিনের নাম করোনাভ্যাক। এই ভ্যাকসিনের প্রথম দুই পর্যায়ের ট্রায়ালের রিপোর্ট ইতিবাচক বলেই দাবি করেছিল চিনের এই ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি। চিনে টিকার দৌড়ে এগিয়ে সিনোফার্ম ও ক্যানসিনো বায়োফার্মাও। সৌদি আরবে ক্যানসিনো বায়াফার্মের তৈরি ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। চিনেও সেনা ক্যাম্পে এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হচ্ছে। চিনের সরকারি মুখপত্র পিপল’স ডেইলি জানিয়েছে, ক্যানসিনো বায়োফার্মের তৈরি ভ্যাকসিনকে পেটেন্ট দিয়েছে সরকার। খুব তাড়াতাড়ি এই ভ্যাকসিন চলে আসবে দেশের বাজারে।

উল্লেখ্য, বেজিংয়ে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ দেখা দিয়েছে। ভাইরাসে সংক্রামিত শতাধিক। চিনের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন জানিয়েছে, প্রথমবার সংক্রামিত হয়েছিলেন যাঁরা তাঁদের বেশিরভাগেরই ফুসফুস অকেজো হতে বসেছে। বিশেষত বয়স্কদের কৃত্রিম অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়ার প্রয়োজন হয়েছে। সংক্রমণ সারানোর পরেও শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা দেখা যাচ্ছে অনেকেরই। এমন পরিস্থিতিতে টিকার প্রয়োগ করা খুবই জরুরি বলেই দাবি সিএনবিজির গবেষকদের। যাঁদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে তাঁদের টিকার ডোজ দেওয়া যেতে পারে।