Famous Female Potters In Kumartuli: কুমোরটুলিতে চলছে শেষ পর্যায়ের কাজ। দিন- রাত এক করে পড়ছে তুলির টান। রং শেষে মায়ের আভূষণের পালা। কুমোরটুলি পাড়ায় চরম ব্যস্ত মৃৎশিল্পী (Potters) ও আর্টিস্টরা (Artists)। তবে শুধু পুরুষ শিল্পী নয়। শিল্পীদের মধ্যে মহিলা শিল্পীর (Female Potters) তালিকাটাও ধীরে ধীরে বাড়ছে। কেউ স্বামীহারা হয়ে নিজেই ঠাকুর গড়ার কাজ ধরেছেন কেউ বা বাবা, দাদাদের ছোট থেকে ঠাকুর গড়া দেখে শিখেছেন, কেউ আবার পরিবারের অত্যধিক বোঝা কমাতে হাত লাগান ঠাকুর গড়ায়। ঠাকুর গড়া নিয়ে মহিলাদের একটা ট্যাবু ছিল আগাগোড়া। সময় যত এগোচ্ছে তত বদলে যাচ্ছে ধারণা। অনেক পরিণত হচ্ছে চিন্তাভাবনা। মহিলা মৃৎশিল্পী বললে আজও কি অবাক হচ্ছেন মানুষ? কোথাও একটা খটকা কি এখনও লাগে?
নারীশক্তির (Female Power) সবচেয়ে বড় উদযাপন এই দুর্গাপুজো। কিন্তু যারা মাকে গড়েন তিনি কেন মহিলা হবেন না? একসময় পুরুষশাসিত পেশায় মহিলাদের স্টুডিওতে ঢুকতে বাধা দিতেন। তবে কতদিন? মহিলাদের কোনোদিন বেঁধে রাখা যায়নি। এমন কোনো জায়গা নেই যার অন্দরমহলে মহিলারা প্রবেশ করছে না। ঠিক তেমনই কিছু উদাহরণ কুমোরটুলির অন্দরের চায়না পাল, মালা পাল, কাকলি পাল। এই নামগুলি কুমোরটুলির স্টুডিওতে ঘোরাফেরা করে। তাদের ঠাকুর গড়ার কাজের শুরু কারও স্বইচ্ছেয়, কারও স্বামী, পিতৃহারা হওয়ার পর হাতেখড়ি। কেউ গড়েন বড় প্রতিমা, কেউ একচালা প্রতিমা, কেউ মিনিয়েচার দুর্গা (Miniature Durga Idols)। এই মায়েদের হাতে গড়া মা যাচ্ছেন দেশ, বিদেশে। আরও পড়ুন, মহালয়া ব্লাউজ নাকি দুর্গা গড়া ব্লাউজ, কী পরবেন? লেটেস্টলি বাংলায় টিপস ডিজাইনার পরমা ঘোষের
কুমোরটুলি ষ্টুডিওতে ঢুঁ মারলেই খুঁজে পাবেন মহিলা পরিচালিত দুর্গা প্রতিমাশিল্পী। তাঁরা সমস্ত মরচে পড়া ধারণা ভেঙে দিয়ে তৈরী করেছেন এক আলাদা পরিচয়। তাঁরা এত বায়না পাচ্ছেন যে কাজের সামাল দেওয়া দায়। আজ তাঁদের মধ্যে কেউ ঠাকুর গড়ার কাজ শেখাচ্ছেনও। তাঁদের পথে এগিয়ে আজ অনেক মহিলারাই ঠাকুর গড়ার কাজ করছেন। পুরুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন তাঁরা। কারও সংসার চলছে ঠাকুর গড়েই। তাঁরা ঘরে বাইরে সব কাজে সমান পারদর্শী হয়ে প্রমাণ করেছেন যথার্থ নারীশক্তির।