গণেশ পুজোর পর থেকেই আকাশে বাতাসে যেন শরতের পরশ। ভাদ্র মাসের পচা গরমের মধ্যেও পুজোর গন্ধে ম ম করছে গোটা পরিবেশ। বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ভাদ্র মাসের সংক্রান্তিতে পালিত হয় বিশ্বকর্মা পুজো। এবারের বিশ্বকর্মা পূজা আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর , শনিবার পালন করা হবে।
বিশ্বকর্মা আসলে যন্ত্রপাতির দেবতা।বৈদিক দেবতা হিসাবে ঋগবেদের ১০ম মণ্ডলে ৮১ এবং ৮২ সূক্তদ্বয়ে বিশ্বকর্মার উল্লেখ আছে। ঋগবেদ অনুসারে তিনি সর্বদর্শী এবং সর্বজ্ঞ। তার চক্ষু, মুখমণ্ডল, বাহু ও পদ সবদিকে পরিব্যপ্ত। তিনি বাচস্পতি, মনোজব, বদান্য, কল্যাণকর্মা ও বিধাতা অভিধায় ভূষিত। তিনি ধাতা, বিশ্বদ্রষ্টা ও প্রজাপতি।
প্রতি বছর ভগবান বিশ্বকর্মার জন্মদিনে, কারিগররা ভগবান বিশ্বকর্মার পূজা করেন। কলকারখানায় বিশেষ আড়ম্বরের সহিত বিশ্বকর্মার মূর্তি বানিয়ে পূজা করা হয়। এই উৎসবটি প্রধানত কারখানা ও শিল্প এলাকা বা দোকানে পালন করা হয়।এইদিন মেশিন, গাড়ি ও বিভিন্ন যন্ত্রপাতির পূজা করা হয়।বিশ্বকর্মাকে বিশ্বব্যাপী এবং বিশ্বের সৃষ্টিকর্তা হিসাবে মানা হয়। কথিত আছে যে বিশ্বকর্মা পূজার দিনে যানবাহন এবং সরঞ্জামের পূজা করতে হবে, যাতে আপনার যাত্রার পথে বা উন্নতির পথে কোনও বাধা হয়ে না আসে।
বর্তমানে প্রতিটি মানুষই কিছু না কিছু যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ ব্যবহার করেন। কম্পিউটার থেকে গাড়ি, সবকিছুরই ব্যবহার ব্যপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কলিযুগে সকল মানুষের জন্য তাই ভগবান বিশ্বকর্মা অপরিহার্য হয়ে পড়েছেন।তবে বিশ্বকর্মা পূজায় পুজোর উপাচার এবং খাওয়া দাওয়া বাদে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল এইদিন সকলে ঘুড়ি উড়িয়ে এই উৎসবটি পালন করে।