পঞ্জিকা অনুসারে, ফাল্গুন মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থীতে করা হয় বিনায়ক চতুর্থীর উপবাস ও পুজো। এই দিনটি ভগবান গণেশকে উৎসর্গ করা হয়। বিনায়ক চতুর্থীর দিন পুজো করা হয় গণেশের সিদ্ধি বিনায়ক রূপের। মান্যতা রয়েছে এদিন উপবাস করে পুজো করলে সন্তানের জীবনের সমস্ত সমস্যা সমাধান হয়। এছাড়া ভগবান গণেশের আশীর্বাদে ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুসারে, ২০২৪ সালে ফাল্গুন গণেশ চতুর্থী পালিত হবে ১৩ মার্চ, বুধবার। এবার জেনে নেওয়া যাক ফাল্গুন মাসের বিনায়ক চতুর্থীর উপবাসের গুরুত্ব ও পুজোর শুভ সময়।
সনাতন ধর্ম অনুসারে, একটি বছরে পালিত সব বিনায়ক চতুর্থীর আলাদা আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। ফাল্গুন মাসের বিনায়ক চতুর্থীর দিনে গণেশের পুজো করা হয় সিদ্ধি বিনায়ক রূপের। ভগবান গণেশ পরিচিত বিঘ্নহর্তা নামেও, যিনি ভক্তদের জীবন থেকে সমস্ত বাধা বিপত্তি দূর করেন। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, যারা প্রতিনিয়ত ভগবান গণেশের পুজো করেন, তাদের জীবনের সমস্ত বাধা বিপত্তি দূর হয়ে যায়। বিনায়ক চতুর্থীতে সিদ্ধি বিনায়ক রূপের পুজো করলে সন্তান সংক্রান্ত সকল সমস্যার সমাধান হয়।
ফাল্গুন শুক্লপক্ষ চতুর্থী শুরু হচ্ছে ১৩ মার্চ, বুধবার, সকাল ০৪:০৩ মিনিটে এবং শেষ হবে ১৪ মার্চ, বৃহস্পতিবার, রাত ০১:২৫ মিনিটে। উদয় তিথি অনুসারে, ১৩ মার্চ পালিত হবে ফাল্গুন বিনায়ক চতুর্থীর উপবাস ও পুজো। গণেশ পুজোর শুভ সময় এদিন সকাল ১১:১৯ মিনিট থেকে ০১:৪২ মিনিট। ফাল্গুন বিনায়ক চতুর্থীতে, সূর্যোদয়ের আগে ঘুম থেকে উঠে, স্নান করে, পরিষ্কার পোশাক পরে বিনায়ক চতুর্থীর উপবাস করার প্রতিজ্ঞা নিতে হয়। পুজোর শুভ সময় অনুসারে, একটি লাল কাপড় বিছিয়ে তার উপর গঙ্গা জল ছিটিয়ে প্রভু গণেশের সিদ্ধি বিনায়কের মূর্তি স্থাপন করতে হয়। এরপর ধূপ প্রদীপ জ্বালিয়ে মন্ত্রটি জপ করতে হবে।