অগ্রহায়ণ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী তিথিকে বলা হয় উৎপন্ন একাদশী। মান্যতা রয়েছে, এই উপবাস পালন করলে কাঙ্খিত ফল পাওয়া যায় এবং ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। এছাড়া মন পবিত্র হয় এবং শরীরও সুস্থ থাকে। ২০২৪ সালে উৎপন্ন একাদশী পালন করা হবে ২৬ নভেম্বর, মঙ্গলবার। এই একাদশীকে উৎপানিকা, উৎপন্না, প্রকাত্য এবং বৈতরণী একাদশীও বলা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে এই উপবাস পালন করলে হাজারো ভগবানের সৎকর্মের ফল পাওয়া যায়।
অগ্রহায়ণ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথি শুরু হবে ২৬ নভেম্বর, রাত ০১:০১ মিনিটে এবং শেষ হবে পরের দিন ২৭ নভেম্বর রাত ০৩:৪৭ মিনিটে। বিষ্ণু পুজোর শুভ মুহুর্ত থাকবে ২৬ নভেম্বর, সকাল ০৯:৩১ মিনিট থেকে দুপুর ০১:২৭ মিনিট পর্যন্ত। উৎপন্ন একাদশীর উপবাস ২৭ নভেম্বর দুপুর ০১:১২ মিনিট থেকে বিকাল ০৩:১৮ মিনিটের মধ্যে ভঙ্গ হবে। সুস্থ সন্তান ও মোক্ষ লাভের জন্য পালন করা হয় উৎপন্ন একাদশীর উপবাস। এই উপবাসের প্রভাবে যেকোনও ধরনের মানসিক সমস্যা দূর হয়।
কাহিনী অনুসারে, একবার ভগবান বিষ্ণুর সঙ্গে মুর নামক এক অসুরের মধ্যে প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়। যুদ্ধের মাঝখানে ভগবান বিষ্ণু খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েন, তাই তিনি বদ্রিকা আশ্রমের গুহায় গিয়ে বিশ্রাম নেন। এদিকে, রাক্ষস মুর বিশ্রামে থাকা অবস্থায় বিষ্ণুকে হত্যা করতে চাইলে বিষ্ণুর দেহ থেকে একজন দেবী আবির্ভূত হয়ে অসুরকে বধ করে। এই ঘটনা ঘটেছিল অগ্রহায়ণ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী তিথিতে। ভগবান বিষ্ণু দেবীর প্রতি অত্যন্ত সন্তুষ্ট হয়ে তার নাম রাখেন একাদশী। শ্রী হরির দেহ থেকে উৎপত্তি হওয়ায় এর নাম হয় উৎপন্ন একাদশী।