মহর্ষি বাল্মীকি, কালিদাস, সুরদাস, কবিরদাস, রহিমের মতো অনেক মহান সাধক ও মহাত্মা জন্মগ্রহণ করেছিলেন ভারতবর্ষে। এর মধ্যে একজন মহান সাধক হলেন, গোস্বামী তুলসী দাস। মহান কবি তুলসী দাস, শ্রী রামচরিতমানস এবং হনুমান চালিসা ছাড়াও লিখেছেন অনেক ধর্মীয় গ্রন্থ। ২০২৪ সালে পালন করা হবে তুলসীদাস জির ৫২৭ তম জন্মবার্ষিকী। শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের সপ্তমী শুরু হবে ১১ আগস্ট, রবিবার, সকাল ০৫:৪৪ মিনিটে এবং শেষ হবে ১২ আগস্ট, সোমবার সকাল ০৭:৫৫ মিনিটে। উদয় তিথি অনুসারে, তুলসীদাস জির জন্মবার্ষিকী পালন করা হবে ১১ আগস্ট।

১৫৩২ খ্রিস্টাব্দের দিকে একটি ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তুলসীদাস জি। তাঁর পিতা-মাতার নাম হরিরাম এবং গুলাবো, তবে ভবিষ্য পুরাণ অনুসারে তাঁর পিতার নাম শ্রীধর এবং মাতার নাম ছিল হুলসি বাই। শৈশব থেকেই তার আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ার কারণে তার আধ্যাত্মিক অনুসন্ধান একজন মহান সাধক করে তোলে তাকে। তুলসীদাসের জন্মের সময় তাঁর মুখ থেকে রাম রাম শব্দটি বেরিয়েছিল, তাই শৈশবে তাঁর নাম রাখা হয় রাম বোলা। কথিত আছে, জন্মের পর তার মা মারা যাওয়ার কারণে হতভাগ্য মনে করে তাঁর বাবাও তাকে ত্যাগ করেন।

তুলসীদাসের জীবন ও তাঁর চিন্তাধারা ছিল সমাজের বর্ণবাদী ধারণার উদ্ধে। ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেও তিনি তাঁর গ্রন্থে সকল জাতি ও শ্রেণীর সমতার কথা বলেছেন। তাই সকল শ্রেণীর মধ্যে সমানভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে তাঁর ভজন এবং রামচরিতমানস। শ্রী রাম কথার উপর ভিত্তি করে তৈরি রামচরিতমানস থেকে সর্বাধিক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তুলসীদাস জি। কথিত আছে যে এক রাতে তাঁর স্বপ্নে ভগবান শ্রী রাম এসে রামচরিতমানস লিখতে অনুপ্রাণিত করেন তাঁকে। তুলসীদাস জী তাঁর লেখনীর মাধ্যমে রামকথাকে জনসাধারণের পৌঁছে দেন। তিনি সরল ভাষায় রামচরিতমানস রচনা করেন, যাতে সাধারণ মানুষ সহজে বুঝতে পারে।