Devi Mahagouri Photo Credit: Twitter@patanjalikarsha

আজ মহাষ্টমী এবং নবরাত্রির অষ্টম দিন। এই দিনটি দুর্গা অষ্টমী নামেও পরিচিত। শাস্ত্র মতে অষ্টমীর দিনে দুর্গার নবম স্বরূপ মহাগৌরীর পুজো করা হয়। দেবীর উৎপত্তির সময় আট বছর আয়ু ছিল মহাগৌরীর। তাই অষ্টমীর দিনে তাঁর পুজো করা হয়। বলা হয় দুর্গার অষ্টম শক্তির পুজো করলে সোম চক্র জাগৃত হয়। দেবীভাগবত পুরাণ অনুযায়ী ৯ রূপ ও ১০ মহাবিদ্যা আদিশক্তির অংশ ও স্বরূপ। কিন্তু মহাদেবের সঙ্গে অর্ধাঙ্গিনী স্বরূপে মহাগৌরী সর্বদা বিরাজমান। তাঁর শক্তি অমোঘ ও সদ্য ফলদায়ী। মহাগৌরীর আশীর্বাদে সমস্ত সঙ্কট দূর হয় এবং সমস্ত অসম্ভব কাজ পূর্ণ হয়। মহাগৌরীর স্বরূপ অত্যন্ত উজ্জ্বল, কোমল, শ্বেতবর্ণ ও শ্বেতবস্ত্রধারী। দেবীর একহাতে ত্রিশূল ও অপর হাতে ডমরু রয়েছে। সঙ্গীত ভালোবাসেন মহাগৌরী। তিনি সাদা বৃষ অর্থাৎ বলদের ওপর সওয়ার থাকেন। তাঁর ডান হাত অভয়মুদ্রায় ও বাঁ হাত শিবের প্রতীক ডমরু। এক হাতে ত্রিশূল রয়েছে। মহাগৌরীর স্বরূপ শান্ত ও দৃষ্টিগত। অষ্টমী তিথিতে মহাগৌরীর পুজো করলে সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ হয়।

সাধকরা মনে করেন দেবী পার্বতীর এই স্বরূপ পরমসাত্ত্বিকের আধার। তিনি পরম পবিত্রতার প্রতীক ও করুণাময়ী দেবী লীলামূর্তি ধারণ করেন। দেবী কালরাত্রির ক্রোধ যখন শান্ত হয়, তখন তিনি নিজের উগ্ররূপ ত্যাগ করে মহাগৌরী রূপে আবির্ভূত হন।কথিত আছে যে এই দেবীর আরাধনা করে, দেবী তাঁদের জীবন থেকে সব ধরনের ভয় ও দুঃখ দূর করেন। এছাড়াও তিনি ভক্তদের জ্ঞান দেন। তাঁদের ব্যক্তি জীবনে ক্রমোন্নতির ব্যবস্থা করে দেন। ভক্তদের সাফল্য অর্জনের ব্যবস্থা করেন তিনি। পাশাপাশি, শত্রুদের ওপর জয়লাভেরও ব্যবস্থা করেন দেবী।