মাঘ মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্থী তিথি পরিচিত সাকাত চৌথ বা তিলকুট চৌথ নামে। সনাতন ধর্মে এই উপবাসের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই দিনে ভগবান গণেশকে তিলের লাড্ডু নিবেদন করা হয়। এই দিনে সন্তানের সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু এবং সকল কষ্ট দূর করার জন্য নির্জলা উপবাস পালন করেন মায়েরা। সারাদিন উপবাস করে চন্দ্রোদয়ের পর চাঁদের পুজো করে জল গ্রহণ করা হয় এবং শুভ সময় অনুসারে পরের দিন উপবাস ভঙ্গ করা হয়। পৌষ সংকষ্টী চতুর্থী শুরু হবে ১৭ জানুয়ারি, শুক্রবার সকাল ০৪:০৬ মিনিটে এবং শেষ হবে ১৮ জানুয়ারি, শনিবার সকাল ০৫:৩০ মিনিটে।
উদয় তিথি অনুসারে, ২০২৫ সালে সাকাত চৌথ উপবাস পালন করা হবে ১৭ জানুয়ারি এবং এদিন চন্দ্রোদয় হবে রাত ০৯:০৯ মিনিটে। সাকাত চৌথ উপবাস বছরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চতুর্থী উপবাস। পদ্মপুরাণে এই উপবাসের কথা বর্ণিত রয়েছে। বিশ্বাস করা হয় যে সাকাত চৌথের দিন ভগবান গণেশ এবং সংকট মাইয়ার উপবাস করে পুজো করলে ভগবান গণেশ প্রসন্ন হয়ে সমস্ত সমস্যার সমাধান করেন। সাধারণত সন্তানের সুখ, সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ুর জন্য এই উপবাস পালন করেন মায়েরা। বিশ্বাস করা হয় যে পুত্র সন্তানের জন্ম দিলে প্রতি বছর এই উপবাস পালন করা উচিত মায়েদের।
মাঘ মাসের কৃষ্ণ চতুর্থীর দিন সূর্যোদয়ের আগে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে পরিষ্কার পোশাক পরে ভগবান গণেশের ধ্যান করে উপবাস ও উপাসনার সংকল্প নেওয়া হয় সাকাত চৌথের দিন। একটি পরিষ্কার স্থানে লাল কাপড় বিছিয়ে ভগবান গণেশ এবং দেবী সংকটের ছবি স্থাপন করে ধূপ ও প্রদীপ জ্বালানো হয়। এরপর মন্ত্র জপ করে ভগবান গণেশকে ২১টি দূর্বা, লাল ফুল, পান, সুপারি, পবিত্র সুতো ইত্যাদি নিবেদন করা উচিত। এছাড়া তিলকুট, তিলের লাড্ডু এবং ফল ভোগ হিসেবে নিবেদন করা উচিত। পৌরাণিক কাহিনী শুনে ভগবান গণেশের আরতি করা হয়। সন্ধ্যায় চাঁদ উঠলে চাঁদকে অর্ঘ্য নিবেদন করে আরতি করা হয়। পরের দিন সূর্যোদয়ের পর গোসল করে উপবাস ভঙ্গ করা হয়।