হিন্দু ধর্মীয় শাস্ত্র অনুসারে, রাধা ও কৃষ্ণের প্রেম নিয়ে রয়েছে অনেক প্রচলিত গল্প। রাধা-কৃষ্ণের প্রেমের অর্থ ভারতীয় ভক্তি ঐতিহ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা বিশেষ করে বৈষ্ণবধর্মে গভীরভাবে প্রোথিত। ভক্তি এবং ঐশ্বরিক প্রেমের নিখুঁত উদাহরণ হল রাধা-কৃষ্ণের প্রেম কাহিনী। রাধা-কৃষ্ণের প্রেমকে মনে করা হয় নিঃস্বার্থ এবং সীমাহীন। নিবেদন, ভক্তি এবং পবিত্রতার সঙ্গে যুক্ত তাদের প্রেম, তবে বেশিরভাগ মানুষের মনে প্রশ্ন জাগে এত সুন্দর প্রেমের সম্পর্ক হওয়া সত্ত্বেও রাধা এবং কৃষ্ণ কেন একে অপরকে বিয়ে করেননি?

১৬টি আচারের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ বলা হয় বিয়ের প্রথাকে। 'ভালোবাসার' পূর্ণতা নিহিত থাকে বিয়েতে, তাহলে কি অসম্পূর্ণই থেকে গিয়েছিল রাধা-কৃষ্ণের প্রেম? ২০২৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর পালন করা হবে রাধা অষ্টমী উৎসব। চলুন রাধা অষ্টমী উপলক্ষে জেনে নেওয়া যাক রাধা-কৃষ্ণের বিয়ের রহস্য। কিছু গল্প অনুসারে, রাধা-কৃষ্ণ সাধারণ নয়, রাধা জানতেন যে কৃষ্ণ একজন সাধারণ মানুষ নন, তাই তার প্রতি তার ভালবাসা ঐশ্বরিক ছিল এবং রাধার প্রতিও একই অনুভূতি ছিল কৃষ্ণের। এককথায় রাধা-কৃষ্ণের প্রেম শারীরিক নয়, আধ্যাত্মিক ছিল।

রাধা-কৃষ্ণের প্রেম জাগতিক ছিল না, তাই বিবাহের নিয়মের উর্দ্ধে ছিল তাদের প্রেম। রাধা এবং কৃষ্ণ উভয়ের চিন্তায়, প্রেম এবং বিবাহ দুটি পৃথক ছিল। প্রেম শারীরিক হয় না, নিঃস্বার্থ আত্মার অনুভূতি হয়, এই তথ্য তুলে ধরেছেন রাধা কৃষ্ণ। তারা দুজনেই একে অপরকে বিয়ে না করে প্রেমের পরম ভক্তি প্রকাশ করেছেন। রাধা-কৃষ্ণ দুই পৃথক ব্যক্তি হলেও, তাদের আত্মা এক ছিল। তারা একে অপরের মধ্যে মিশে গিয়েছিল, তাই বিবাহের মতো পার্থিব বন্ধনে আবদ্ধ থাকার প্রয়োজন মনে করেননি তারা। রাধা-কৃষ্ণ দুজনেই জানতেন তারা পবিত্র আত্মা।