Photo Credit_Twitter

নবদুর্গার দ্বিতীয় রূপ দেবী ব্রহ্মচারিণীর। ব্রহ্ম হল তপস্যার একটি স্তর। ব্রহ্মচারিণী সেই অর্থে তপস্যাকারী বা তপশ্চারিণী। ‘ব্রহ্মচারিণী’ নামের অর্থ ‘ব্রহ্মচর্য ব্রত অবলম্বনকারিণী’ বা পালনকারিণী। দেবীর রূপ বলতে, তিনি দ্বিভুজা কিন্তু, ত্রিনয়নী। তাঁর পরনে সাদা শাড়ি ও ফুলের অলঙ্কার। এক হাতে কমণ্ডলু। দেবীর অন্য হাতে জপমালা। তন্ত্রমতে দেবী ব্রহ্মচারিণী ব্রহ্মের প্রতিনিধি রূপে দেবতাদের দর্পও চূর্ণ করেছিলেন। দেবীর ভৈরবের নাম চন্দ্রমৌলীশ্বর। দেবীপুরাণ অনুযায়ী, তিনি সর্ববেদে বিচরণ করেন। আর, সেই কারণেই দেবী পার্বতীরই অপর নাম ‘ব্রহ্মচারিণী’। নবরাত্রির দ্বিতীয় দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সকলকে জানালেন শুভেচ্ছা। তিনি লিখলেন-

"আজ মায়ের দ্বিতীয় রূপ ব্রহ্মচারিণীর বিশেষ পূজার দিন। আমি কামনা করি তিনি তাঁর সমস্ত ভক্তদের শক্তি, শক্তি এবং সাফল্যের আশীর্বাদ করুন। আপনাদের জন্য রইল তার স্তোত্র"

আশ্বিন এবং চৈত্র নবরাত্রির শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে দেবী পার্বতীকে ব্রহ্মচারিণী রূপে পূজা করা হয় । দেবী ব্রহ্মচারিণী সাধককে ব্রহ্মজ্ঞান দান করেন। তাঁর পূজা করলে সংযম ও মানসিক শক্তি বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি, সাধক অনন্ত পুণ্যফলও লাভ করে থাকেন। সাধক সর্বদা সিদ্ধি এবং বিজয় লাভ করে থাকেন দেবী ব্রহ্মচারিণীর আরাধনা করলে। নবরাত্রির দ্বিতীয় দিনে সাধক নিজের মনকে স্বাধিষ্ঠান চক্রে স্থির করে দেবী ব্রহ্মচারিণীর পূজা করেন। দেবীর জ্যোতির্ময়ী রূপের কথা আরাধনার সময় সাধক মনে কল্পনা করে থাকেন।