মিনিয়েচার দুর্গা (Photo Credits: Wikimedia Commons)

Specialties of Miniature Durga: সবচেয়ে বড় দুর্গা তো দেখেছেন, সবচেয়ে ছোট দুর্গা হলে কেমন হয়? ১ থেকে ১২ ইঞ্চির ( 1 to 12 inch) দুর্গাকে (Durga) হাতের মুঠোয় পুড়ে নিতে পারেন। তাতে থাকে লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ, কার্তিক। মায়ের গোটা পরিবার হাতের মুঠোয়। এমনই ছোট ছোট দুর্গা গড়ে তাক লাগিয়ে দিচ্ছেন মিনিয়েচার শিল্পীরা ( Miniature Artists)। রীতিমতো একটা সৃজনশীল শিল্প এই ছোট দুর্গা। হরেক উপকরণ দিয়ে মিনিয়েচার দুর্গা বানানো হচ্ছে। মাটি ছাড়াও বোতলের মধ্যে কাগজ দিয়ে, গেঞ্জির কাপড় দিয়ে, রাবার পাইপ দিয়ে, তেজপাতা, ফুলের পাপড়ি, পেঁয়াজের খোসা, ইলেকট্রিক তার, ময়দা, ট্যাবলেট দিয়েও।

কুমোরটুলিতে (Kumartuli) মাটির মিনিয়েচার দুর্গার ছড়াছড়ি। এগুলি দেশ, বিদেশে যেমন যায় আবার দেশেরই অনেকে বাড়ির পুজোর দুর্গা হিসেবে মিনিয়েচার দুর্গাকে ঘরে তোলেন। মিনিয়েচার দুর্গা প্রধানত শোভা বাড়ায় ঘরের শোকেস বা গৃহসজ্জায়। তবে একটু বড় মাপের মিনিয়েচার হলে তা পুজোর জন্যও বিক্রি হয়। এখন মিনিয়েচার দুর্গা নিয়ে চলে নানারকম পরীক্ষা নিরীক্ষা। একটা ভালো শিল্পের জায়গায় পরিণত হয়েছে ছোট দুর্গা। বড় দুর্গার পাশাপাশি প্রতিযোগিতা হয় কে, কত ছোট দুর্গা বানিয়ে তাক লাগাবেন। আরও পড়ুন, মাকে গড়তে মেয়েরা; ট্যাবু ভেঙে দুর্গা গড়ছেন কুমোরটুলির মহিলা মৃৎশিল্পীরা

কখনও মিনিয়েচার দুর্গা নখের মাপেরও হয়। প্রতিমার উচ্চতা ছয় মিলিমিটার। তারই মধ্যে নিখুঁতভাবে রয়েছে অসুর, সিংহ এবং দেবীর দশ হাতে দশ অস্ত্র। মিনিয়েচার বা ক্ষুদ্র আকারের দুর্গা প্রতিমা ও সঙ্গে তার চারসন্তান তৈরি করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন রায়গঞ্জের কৃতী শিল্পী মানস রায়। এরকমই শিল্পীরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন জেলাগুলিতে। কুমোরটুলিতে কিছু ষ্টুডিও আছে যেখানে ছোট দুর্গারই বায়না নেওয়া হয়। রমরমিয়ে বিক্রি হয়। মাস খানেক আগে থেকেই পাড়ি দেয় দেশ, বিদেশে।