আর কয়েকদিনের অপেক্ষা, তারপর শুরু হবে নতুন বছর এবং নববর্ষ একটি নতুন শুরুর প্রতীক। নতুন বছর শুরু হওয়ার আগে কাটিয়ে আসা বছরের নিজেদের আচরণ এবং অভ্যাস মূল্যায়ন করে একটি ভালো ভবিষ্যতের জন্য নতুন রেজোলিউশন করে সকলেই। জ্যোতিষশাস্ত্র এবং ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, কিছু অভ্যাস পরিবর্তন করে এবং সঠিক পথ অবলম্বন করে ভাগ্য পরিবর্তন করা সম্ভব। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন অভ্যাসের বিষয়ে, যেগুলো পরিত্যাগ বা পরিবর্তন করলে জীবনে আসতে পারে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি।

জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, অলসতা শনি গ্রহের প্রভাব বাড়ায়, যা জীবনে বাধা এবং ব্যর্থতা নিয়ে আসে। নতুন বছরে, সময়ের সদ্ব্যবহার করার সংকল্প নেওয়া উচিত এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে ধ্যান, যোগাসন ও উপাসনাকে প্রতিদিনের রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এছাড়া নেতিবাচক চিন্তাভাবনা এবং অভ্যাস জীবনে রাহু কেতুর প্রভাব বাড়ায়। জীবনে সাফল্য এবং শান্তি চাইলে মন ও চিন্তাকে ইতিবাচক করা জরুরি এবং অন্যের সমালোচনা ও ঈর্ষা এড়িয়ে চলা উচিত। অনিয়মিত জীবনযাপন গ্রহের অশুভ প্রভাব বাড়ায়। সময়মতো ঘুমানো, সময়মতো জেগে ওঠা এবং সময়মতো কাজ সম্পূর্ণ করা জীবনে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

শাস্ত্রে অহং ও ক্রোধকে তামসিক প্রবণতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। এগুলি সম্পর্কের ক্ষতি করার পাশাপাশি বৃহস্পতি এবং শুক্রের ইতিবাচক প্রভাবও হ্রাস করে। নববর্ষে নম্রতা ও সংযম অনুশীলন করা উচিত। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, অযথা অর্থ ব্যয় শুক্র এবং চন্দ্রকে দুর্বল করে দেয়, যা আর্থিক সমস্যা বাড়াতে পারে। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে, ভালো কাজে অর্থ বিনিয়োগ করা এবং দেবী লক্ষ্মীর পুজো আর্থিক সমৃদ্ধি নিয়ে আসে। নতুন বছরে একটি বাজেট তৈরি করে সংরক্ষণ করা শেখা উচিত। এছাড়া অশুদ্ধ ও তামসিক খাবার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করার পাশাপাশি মানসিক অশান্তিও ডেকে আনে, তাই এগুলো এড়িয়ে চলা উচিত এবং পশু, পাখি এবং অভাবীদের নিয়মিত খাবার দান করা উচিত।