"আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোক মঞ্জীর; ধরণীর বহিরাকাশে অন্তরিত মেঘমালা; প্রকৃতির অন্তরাকাশে জাগরিত জ্যোতির্ময়ী জগন্মাতার আগমন বার্তা।।" মহালয়ার (Shubho Mahalaya 2022) ভোরে আপামর বাঙালির ঘুম ভাঙে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের গলায় মহিষাসুরমর্দিনীর স্তোত্রপাঠে। বীরেন্দ্র কৃষ্ণ (Birendra Krishna Bhadra) ছাড়াও আকাশবানীর এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন পঙ্কজকুমার মল্লিক, বানীকুমার। শরতের আকাশে পেজা তুলোর মত মেঘ এবং মাঠে-ঘাটে কাশফুল জানান দেয় মা আসছে। মা দূর্গা মর্তে আসছেন। তার জন্য বাঙালির মনে তো এক আনন্দ থাকেই, অন্যদিকে মহিষাসুরমর্দিনী প্রবাসী বাঙালির মন করে তোলে ভারাক্রান্ত। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মহালয়ার পাশাপাশি এদিন উত্তর কলকাতার গঙ্গাঘাটগুলিতে ভোর হতেই ভিড় জমতে শুরু করে তর্পণের জন্য।
পিতৃপুরুষের স্মৃতির উদ্দেশ্যে তর্পণ করেন সকলে। শুধু পুরুষরাই নন। মহিলারাও তর্পণে অংশগ্রহণ করেন। শাস্ত্রমতে তর্পণের ফলে পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তি কামনা এবং উত্তর পুরুষদের আশীর্বাদ করেন। স্নান করে শুদ্ধ চিত্তে তর্পণ করতে হয়। যব মিশ্রিত জলে দেবদর্পণ এবং কালো তিলমিশ্রিত জলে পিতৃ তর্পণ করা হয়।পূর্বপুরুষদের তিলচন্দন মিশ্রিত জলে তর্পণ করলে তাঁরা সব থেকে বেশি তৃপ্ত হন।মহালয়ার প্রভাতে তর্পণের সবচেয়ে উপযুক্ত সময় সকাল ৬টা ২৩ থেকে সকাল ৮টা ৪১।
মহালয়ার এই দিনে অশুভ শক্তির বিনাশ হয়ে জাগরিত হবে শুভ শক্তি। ভোর পেরিয়ে সকাল হতেই শুরু হবে শুভেচ্ছা বিনিময়। লেটেস্টলি (LatestLY) বাংলা আপনাদের জন্য হাজির করছে মহালয়ার বিশেষ শুভেচ্ছাপত্র (Mahalaya Special Wish Card)। আপনিও আপনার কাছের মানুষদের পাঠিয়ে দিতে পারেন এইসব শুভেচ্ছা বার্তাগুলি (Wishes)।