কলকাতা, ২৭ অক্টোবর: আজ রবিবার কালীপুজো (Kali Puja)। শক্তির আরাধনায় মেতে উঠবে রাজ্যবাসী। সকাল থেকে কালীঘাট (Kalighat), দক্ষিণেশ্বর (Dakshineswar Kali Temple), তারাপীঠ (Tarapith) সহ রাজ্যের বিভিন্ন কালী তীর্থগুলিতে ভক্তদের ঢল নেমেছে। সকলের মনের অন্ধকার দূর করে আলোয় ভরিয়ে দিক এই প্রার্থনা করেই আজ সকাল শুরু করেছে বাঙালি। দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনের জন্যই কালী পুজো (Kali Puja) করা হয়। আর এই উৎসবের মরশুমে সবচেয়ে কঠিন কাজ যাদের কারা হল পুলিশ। কারণ নিরাপত্তায় যাবতীয় ভার তাদের উপরেই ন্যস্ত রয়েছে। দুর্গাপুজোর মতো কালীপুজো উপলক্ষ্যেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। গোটা শহরজুড়ে প্রায় ৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন লালাবাজারের এক প্রবীণ পুলিশ কর্তা। তিনি জানান, ২০টি কুইক রেসপন্স টিম এবং ১৩টি হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কয়্যাড (HRFS) ভ্যান শহরের বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন থাকছে। নজরদারি রাখতে রয়েছে ১২টি ওয়াচ টাওয়ার।
তিনি বলেন, "উৎসব চলাকালীন যে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। আমরা কালীপুজো এবং দীপাবলি একই দিনে হওয়াতে আরও সতর্ক রয়েছি।" তিনি আরও বলেন, শহরের বড় ক্রসিংয়ে অতিরিক্ত সিসিটিভি লাগানো হয়েছে এবং শহরে ঢোকা ও বাইরে যাওয়ার রাস্তায় চেকিংয়ের পাশাপাশি টহল আরও জোরদার করা হবে। এছাড়াও ১০টি অ্যাম্বুলেন্স এবং ১৫টি ট্রমা-কেয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শহরের চারটি বড় কালী মন্দিরেও নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। কালীঘাট, ঠনঠনিয়া, লেক কালীবাড়ি ও টালিগঞ্জের করুণাময়ী কালী মন্দিরে বিশেষ নজরদারি চালানো হবে। কোনও অভিযোগ জানাতে হলে হেল্পলাইন হিসেবে থাকছে ১০০। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন ঘাটে কালী প্রতিমা নিরঞ্জন দেওয়া যাবে বলে জাননিয়েছে কলকাতা পুলিশ। তবে, বাদামতলা ঘাটে শেষ দিন নিরঞ্জন করা যাবে না। আরও পড়ুন: Kali Puja 2019: আজ কালীপুজো, কালীঘাট-দক্ষিণেশ্বর-তারাপিঠে সকাল থেকে ভক্তদের ঢল, আলোর রোশনাইয়ে ভাসতে তৈরি রাজ্য
পটকা ফাটানোর বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্যদ ১২৬ রকমের শব্দবাজি নিষিদ্ধ করে। এই নিষিদ্ধ বাজি না ফাটানোর জন্য শহরবাসীর কাছে আবেদন জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ। এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের আধিকারিক বলেন, "৫ মিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে ৯০ ডেসিবেলের বেশি শব্দের যে কোনও শব্দবাজি ফাটানো নিষিদ্ধ।" বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তা জানান, সল্টলেকেও একই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।